সিলেট প্রতিনিধি : সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জের কালিজুরী জালালাবাদ রাস্তার অসমাপ্ত কাজ শুরু হওয়ায় গ্রামের সকলেই খুশি। যুক্তরাজ্যস্থ যুবলীগের সাধার সম্পাদক সেলিম আহমদ খান কর্তৃক শুপারিশকৃত শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ রাস্তাটি বরাদ্দের ঘোষনা দেন প্রায় ৫ বছর পূর্বে।
তা বাস্তবায়িত হতে সময় গড়িয়েছে অনেক। ঘোষনাকালিন সময়ে সকলের ধারণা ছিল (১হাজার মিটার) পুরো রাস্তা সরকারী খরচে সম্পন্ন হবে। কিন্তু পরবর্তীতে জানা গেল ৫শ মিটার সরকারীভাবে হবে বিটোমিন (গালা) যুক্ত। এ নিয়ে অনেকের মনে অসন্তুষ দেখা দিলে গ্রামবাসী মিলে প্রবাসীদের উদ্যোগে বাকি ৫শ মিটার আরসিসি ঢালাই নিজ উদ্যোগ সম্পন্ন করার প্রস্ততি গ্রহণ করেন।
কাজ শুরুর পূর্ব মুহুর্তে দিক নির্ণয় নিয়ে মতানক্ষ্য দেখা দিলে সরকারী কাজ পিছিয়ে যায়। গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী আখলু মিয়ার তত্বাবধানে ৫শ মিটারের কাজ হয় প্রায় বছর খানিক পূর্বে। বাকি কাজ বিলম্ব হওয়ায় অনেকের ধারণা ছিল সরকারী কাজ সময় মত না হলে হয়তো বাতিল হতে পারে।
কিন্তু গ্রামবাসি আবারো উদ্যোগী হয়ে পুনরায় কাজ করার ইচ্ছা পোষন করলে গোলাপগঞ্জ প্রকৌশল অফিস থেকে এর যথাযত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। গত ৩ সপ্তাহ থেকে রাস্তায় মাটি কেটে বক্স নির্মানের কাজ শুরু হয়েছে।
এ নিয়ে কালিজুরী প্রভাতী সংঘের সহ-সভাপতি হিফজুর রহমান জানান গ্রামের প্রত্যেক মানুষের জন্য রাস্তার প্রয়োজন। কে কি করেছে বা বলেছে সেটি দেখা বা ভাবার বিষয় নয়। রাস্তা হবে এটাই বড় কথা। তিনি গ্রামবাসী ও প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, গ্রামের যারা প্রবাসে রয়েছেন তাদের উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে এটা খুশির সংবাদ।
এর পর সরকারী বরাদ্দকৃত রাস্তা যাদের উদ্যোগে হোক গ্রামের মানুষ প্রাণ খুলে তাদের জন্য দোয়াতো করবেনই সাথে সাথ কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছেন। আগামিতে আরো উন্নয়নের কাজ হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
যুক্তরাজ্যস্থ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমদ খান জানান, বহরগ্রাম থেকে কালিজুরী ছয়ত্রিশ হয়ে কালিজুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণ এবং কালিজুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে জালালাবাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা মেরামতের জন্য শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়কে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন এ কাজ শে হওয়ার সাথে সাথে পরবর্তী কাজের বরাদ্দ হবে বলে তার বিশ্বাস।
গ্রামবাসি অনেকের মুখে শোনা গেছে রাস্তা নির্মানে যে সরকারী বরাদ্দ এসেছে তা দিয়ে যেন সুন্দর ভাবে রাস্তাটি নির্মিত হয়। উপজেলা প্রকৌশলী মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, রাস্তা নির্মাণে বক্স তৈরী হবে ৫শ মিটার দৈর্ঘ্য, ৩মিটার প্রস্থ। প্রথমেই বালু ভরাট হবে ৮ইঞ্চি, উভয় পার্শে এজিং (খাড়া কর ইট বসানো), বালু ও খোয়া (কক্রিট) এর উপর ৬ইঞ্চি, এর উপরে শুধু খোয়া (কক্রিট) বিছানো হবে ৬ইঞ্চি, পরে প্রাইম কোট অর্থাৎ(কেরসিন এবং গালা) মিশিয়ে কক্রিট ভেজানোর পর (নুড়ি পাথর ও বিটুমিন বা গালা) ১ ইঞ্চি ডেন্স কার্পেটিং দিয়ে সমাপ্ত হবে। সাথে একটি নাম ফলকসহ মোট ব্যয় হবে ২৭লক্ষ ৭ হাজর ২শ ৬৬টাকা ৯৯ পয়সা।
তিনি বলেন যেহেতু এটি সরকারী কাজ, পুরো কাজই হবে নির্ধারিত সিডিউলের মাধ্যমে। উপযুক্ত কাজ হলে কারো কোন অভিযোগ বা অনুযোগ থাকার কথা নয়। রাস্তাটি পাকা করণ হলে সুবিধা পাবেন পুরো গ্রামবাসী। সকলেই আশাবাদি পরবর্তীতে ঝরাজীর্ণ গ্রাম্য রাস্তা মেরামত হলে শহুরে আবাসিক এলাকা না হোক দুর্গমতা সুগমে পরিণত হবে বলে সকলের বিশ্বাস।