গ্রাম বাংলা ডেস্ক: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, একজন ব্যক্তি জঙ্গি কিনা তা নির্ধারণ করবে আদালত। আদালতের মাধ্যমে সে জঙ্গি প্রমাণিত হলেই তাকে আমরা জঙ্গি বলবো। পুলিশ জঙ্গি বললে হবে না। তাদের কাছে যতো প্রমাণই থাকুক। তিনি বলেন, পৃথিবীর কোন সভ্য আইনে পায়ে ঠেকিয়ে গুলি করার কথা নেই। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয় না। আর তাকে দেখতে গেলেই মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়। তিনি আরও বলেন, ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলবেন না। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব ভালোভাবে পালন করুন। মানুষকে মানুষ হিসেবে দেখার চেষ্টা করুন। শনিবার সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন (পবা) আয়োজিত বিষমুক্ত খাদ্য নিশ্চিতকরণ:গৃহিত ব্যবস্থা ও করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. মিজান ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলা দায়েরের জন্য হাইকোর্টের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার ভয় হয়। হাইকোর্ট বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্যাদি রাখার অপরাধে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের জন্য পুলিশকে আদেশ দিয়েছে। তারা এই ক্ষমতার কারণে কৃষকের খাদ্য উৎপাদনে ও বিকাশে বাধাগ্রস্থ করবে।
বিশেষ ক্ষমতা আইন সর্ম্পকে ড. মিজান বলেন, এটি একটি কালো আইন। কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা বলতে শিখতে হবে। আমাদের আইনগুলো এমনভাবে করা ক্ষমতাধর অপরাধীরা সহজে পার পেয়ে যায়। ভুক্তভোগী হয় গরীব কৃষকরা। তিনি বলেন, ৪৩ বছর ধরে রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। খাদ্যকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। মূলনীতি হিসেবে দেখিয়ে যাচ্ছে।