খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস জানান, খাদিজা বাড়িতে এসেছেন। বাড়িতে ফিরে আসায় সবাই খুশি। আর কোনো খাদিজা যেন নৃশংসতার শিকার না হন, এমনটাই চাও পরিবারের। খাদিজার ওপর হামলাকারী বদরুল আলমের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন আবদুল কুদ্দুস।
সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা গত বছরের ৩ অক্টোবর বিকেলে এমসি কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্রে বিএ (পাস) পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার সময় হামলার শিকার হন। তাঁকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম। ঘটনার পর জনতা ধাওয়া করে বদরুলকে ধরে পুলিশে দেয়। সংকটাপন্ন অবস্থায় খাদিজাকে প্রথমে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর খাদিজার অবস্থার উন্নতি হলে গত ২৮ নভেম্বর তাঁকে সিআরপিতে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে ১ ফেব্রুয়ারি এক সপ্তাহের জন্য বাড়ি গিয়েছিলেন খাদিজা।
গতকাল বৃহস্পতিবার সিআরপি কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, খাদিজা এখন প্রায় সুস্থ। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন। তবে পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তাঁকে আরও কয়েক বছর চিকিৎসা নিতে হবে।
খাদিজার ওপর হামলার ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে করা মামলাটি সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। বদরুল এই মামলার একমাত্র আসামি।