এম এ কাহার বকুল; লালমনিরহাটপ্রতিনিধিঃ, ভুয়া শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়ে বিদ্যালয়গুলোতে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাণিজ্যর ঘটনা লালমনিরহাট জেলায় বহু দিন ধরে। তারই অংশ হিসেবে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদে সহকারী শিক্ষক পদে চাকুরী করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন ও ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিত করেছে। বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও স্থানীয়দের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, নামুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১১ সালে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে সহকারী শিক্ষক পদে হেলাল উদ্দিন নামের এক শিক্ষক যোগদান করেন। ২০১৩ সালে তার বেতন হয়। ভুয়া সনদের বিষয়টি গোপন রাখেন হেলাল উদ্দিন। হেলাল উদ্দিন বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটিকে জানান, তিনি ২০০৮ সালে রংপুর জেলা থেকে সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক নিবন্ধন পাস করেন। তার ২০০৮ সালের পাসের সনদে রোল- ১১৬১১০৯০ রেজি- ৮০০১১৪৭৯/২০০৮। কিন্তু রংপুর জেলা শিক্ষা অফিস সুত্রে জানাগেছে, ২০০৮ সালে হেলাল উদ্দিন নামের ওই রোল নং সমাজবিজ্ঞান বিষয়ে কেউ পাস করেনি। রংপুর জেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী মোঃ মামুন হোসেন জানান, হেলাল উদ্দিন নামের ওই রোল নিয়ে ২০০৮ সালে কেউ নিবন্ধন পরীক্ষায় পাস করেনি।
বর্তমান সাটিফিকেটটি জাল। এ ঘটনার পর বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ওই শিক্ষকের বেতন বন্ধ করে দেয়। অভিযুক্ত শিক্ষক হেলাল উদ্দিন দাবি করেন, তার সনদ সঠিক। তবে জেলা শিক্ষা অফিসের অফিস সহকারী আব্দুল জলিল জানান, ২০০৭ ও ২০০৮ সালে যারা নিবন্ধন পরীক্ষা পাস করেছেন তাদের তালিকা ইন্টারনেটে না থাকলেও শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করেছে এনটিআরসি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এন্তাজুল হক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ওই সনদ পরীক্ষা করার জন্য লালমনিরহাট জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দিকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ জানান, ওই শিক্ষকের বেতন স্থগিত রাখা হয়েছে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত। জেলা শিক্ষা কর্মকতা মোঃ আবু আশরাফ নুর জানান, অভিযোগ পাওয়া হয়েছে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রমানিত হলে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।