আইনী লড়াইয়ে ফের হেরে গেলেন নেইমার ও তার ক্লাব বার্সেলোনা। দুর্নীতি ও প্রতারণার মামলার শাস্তির বিরুদ্ধে তাদের করা আবেদন খারিজ করে দিলো স্প্যানিশ আদালত। ২০১৩ সালে ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোস থেকে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। তখন জানানো হয় যে, বার্সেলোনা তাকে ৫৭.১ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভিড়িয়েছে। এরমধ্যে ৪০ মিলিয়ন ইউরো দেয়া হয়েছে নেইমার ও তার পরিবারকে। তবে স্পেনের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা গত নভেম্বরে জানান যে, বার্সেলোনা ও নেইমারের ওই তথ্য ভুয়া ছিল। আসলে নেইমারকে ৮৩ মিলিয়ন ইউরোতে দলে ভেড়ায় বার্সেলোনা। কিন্তু কর ফাঁকি দেয়ার জন্য তারা অর্থের বাকি পরিমান গোপন করে। নেইমার ও বার্সেলোনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে স্পেনের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিরা নেইমারের বিরুদ্ধে আদালতে ২ বছর কারাদ- ও ১০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানার আবেদন করে। এছাড়া বার্সেলোনাকে ৪০ মিলিয়ন ইউরো জরিমানার আবেদন করেন তারা। অন্যদিকে ব্রাজিলের বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ডিআএস দাবি করে যে, নেইমারের ক্রীড়া স্বত্বের ৪০ শতাংশ ছিল তাদের। নেইমার বার্সেলোনায় যোগ দেয়ার সময় ট্রান্সফার ফি’র মূল অর্থের পরিমাণ গোপন করায় তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করে। সব মিলিয়ে নিয়মিত আদালতে হাজির হতে হচ্ছে নেইমার ও তার বাবাকে। শুরু থেকেই তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। স্পেনের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলিদের করা কারাদ- ও জরিমানার আবেদনের বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেন নেইমার। কিন্তু সর্বশেষ সোমবার তাদের সে আবেদন খারিজ করে দিলেন আদালত। এতে বড় জরিমানার সামনে নেইমার ও বার্সেলোনা। তবে দুই বছরের জেল তাকে খাটতে হবে না। কারণ, স্পেনের আইন অনুযায়ী সহিংস অপরাধ না করলে দুই বছরের নিচের সাজার ক্ষেত্রে কারাবাস করতে হয় না। এছাড়া প্রথম এমন অপরাধ করলেও ছাড় দেয়া হয়।