শফিকুল ইসলামঃঅমর একুশে ফেব্রুয়ারি/ ফাল্গুন আন্তর্জাতিক মাতৃভভাষা দিবসে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সালাম, রফিক, বরকত, জব্বার, শফিকসহ সকল ভাষা শহীদদের।”আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি।”অত্যন্ত শ্রুতিমধুর দুটি লাইন যা সবার কাছেই পরিচিত সুর।কিন্তু দুঃখ এবং পরিতাপের বিষয় আমরা কি আমাদের কর্ম দ্বারা আদৌ মনে রেখেছি তাদের?ভাষা আন্দলনের ৬৫ বছর,মহান মুক্তিযুদ্ধের ৪৬ বছর,জাতিসংঘ কতৃক আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে সীকৃতির প্রায় ১৮ বছর পার হলেও আমরা কি পেরেছি প্রকৃত অর্থে ভাষা শহীদদের রক্তের মুল্য দিতে?
যেদিকে তাকাই সেদিকেই দেখা যায় বাংলা ভাষার অবহেলা অবমাননা,বিদেশী ভাষার দাপট বিশেষ করে ইংরেজি ভাষা।যদিও ইংরেজি ভাষা আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে সীকৃত।তবুও বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা।যা রাষ্টীয় ভাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের ১৯৫২ এর ভাষা আন্দলন।যার সূত্রধরে ১৯৭১ এ মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন রাষ্ট্র, মানচিত্র ও চির লাল সবুজের পতাকা।এবং বর্তমান সরকারের বিগত মেয়াদে মহান সংসদে বিল আকারে বাংলা ভাষা ব্যাবহারের আইন পাশ হওয়ার পরেও খুব একটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না।উন্নত বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র যেমনঃচীন,জাপান,জার্মানি সহ অন্যান্য প্রায় সব দেশেই নিজেদের মাতৃভাষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে থাকে।ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার কারনে এর ব্যাবহার তো ওইসব দেশেও আছে।তবে আমরা কেন তাদের মতো পারি না?আজও কেন আমাদের সর্বোচ্চ আদালতের রায় ইংরেজিতে লিখা হয়?শুধু তাই নয় আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজিকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দেয়া হয়।শুধু কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয়েই নয় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়েও ইংরেজি ভাষার লাগামহীন ছড়াছড়ি। আমরা মা কে মা বলে না ডেকে মম বলে ডাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি,কিন্তু কেন?তবে কি বাঙালি বীরের জাতিকে কোন অপশক্তি কৌশলে ভুল পথে নিয়ে যেতে চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে মনে হয়?অথচ জাতিসংঘের সাধারন অধিবেশনে দাঁড়িয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান বাংলায় ভাষন দিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন।যার ধারাবাহিকতায় বর্ত্মান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতিসংঘ অধিবেশনে বাংলায় ভাষন দিয়ে থাকেন।
এমতাবস্থায় জাতির প্রত্যাশা রাষ্টের সকল পর্যায়ে বাংলা ভাষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সকল ভাষা শহীদদের রক্তের যথাযথ কতৃপক্ষের কাছে বাংলা ভাষার সর্বোত্তম মর্যাদা প্রতিষ্ঠাই জাতির দাবি।