নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলে ভুয়া খবর দিচ্ছে সংবাদমাধ্যম

Slider ফুলজান বিবির বাংলা সারাবিশ্ব

50b19e6a61c1e32fc459b23543c2a3da-17

এএফপি |মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক সমাবেশে সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে আরেকবার বিষোদ্গার করেছেন। ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের মেলবোর্ন শহরে গত শনিবারের ওই অনুষ্ঠানে তিনি সংবাদমাধ্যমকে অসৎ আখ্যা দিয়ে বলেন, তারা কোনো সূত্র ছাড়াই একের পর এক ভুয়া খবর দিচ্ছে। তারা ‘সত্য তুলে ধরতে’ চায় না, তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্য আছে।
নির্বাচনী প্রচারাভিযানের ধাঁচে সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘সাংবাদিকেরা দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থারই অংশ। আমরা তাদের দুষ্কর্ম প্রকাশ করতেই থাকব।’
গত বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট সংবাদমাধ্যমের কঠোর সমালোচনা করেছেন। শপথ নেওয়ার পর থেকে তাঁর ওপর একের পর এক চাপ আসছে। তাঁর মনোনীত জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন গত সপ্তাহে পদত্যাগ করেছেন। ট্রাম্প গতকাল ওই পদের জন্য নতুন প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার কথা।
মেলবোর্নের সমাবেশে ট্রাম্প ও তাঁর স্ত্রী মেলানিয়াকে হাজারো সমর্থক স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে আরও অনেকে বিক্ষোভ করেন। রিপাবলিকান পার্টির মনোনয়ন নিয়ে গত নভেম্বর অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্লোরিডা রাজ্যে জিতেছিলেন। সমাবেশে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিনদের উদ্দেশে ‘ভুয়া খবরের আবরণমুক্ত’ বার্তা পৌঁছে দিতে চান।
প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত নিজের কাজকর্মের গুণগান করে ট্রাম্প শনিবারের সমাবেশে বলেন, হোয়াইট হাউস খুব সুন্দরভাবে চলছে। যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে আশাবাদের প্রবাহ হচ্ছে।
আমেরিকাকে ‘নিরাপদ’ রাখার নির্বাচনী অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, তাঁর দেশ আবার শক্তিশালী সীমান্ত পাবে। মার্কিন নাগরিকেরা ‘একটি অসাধারণ স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা’ পাবেন। কথিত ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সন্ত্রাস পুরোপুরি নির্মূল করতে একটি পরিকল্পনা নেওয়া হবে। যুক্তরাষ্ট্রে আরও কর্মসংস্থান তৈরি করা হবে এবং দেশটির সামরিক বাহিনী পুনর্গঠন হবে।
ক্ষমতাসীন কোনো প্রেসিডেন্টের এ রকম নির্বাচনী প্রচারাভিযানের ধাঁচে সমাবেশ করাটা যুক্তরাষ্ট্রে অপ্রচলিত। ট্রাম্প সপ্তাহজুড়ে একাধিকবার সংবাদমাধ্যমের নিন্দা করেছেন। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণায় মস্কোর প্রভাব থাকার অভিযোগ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের অসাধুতা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।
মাইকেল ফ্লিন গত সোমবার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ছাড়েন। মার্কিন অবরোধ নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল কি না, সে প্রসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে ভুল পথ দেখিয়েছিলেন। নিউইয়র্ক টাইমস গত সপ্তাহে লিখেছে, ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচার দলের সদস্য ও অন্য সহযোগীরা ওই নির্বাচনের আগে জ্যেষ্ঠ রুশ গোয়েন্দাদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ করেছিলেন।
নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে চার প্রার্থীর সাক্ষাৎকার নেবেন ট্রাম্প। তাঁরা হলেন বর্তমান ভারপ্রাপ্ত উপদেষ্টা কিথ কেলগ, জাতিসংঘে সাবেক মার্কিন দূত জন বোল্টন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এইচআর ম্যাকমাস্টার এবং লেফটেন্যান্ট জেনারেল রবার্ট ক্যাসলেন।
অভিবাসনকর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা:
মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ দেশটির অভিবাসন বিভাগের কর্মীদের জন্য নতুন নির্দেশনা তৈরি করেছে। আশ্রয়ের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে দ্রুত বিদেশিদের ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যেই ট্রাম্প প্রশাসন এই নির্দেশিকা বানিয়েছে। তবে এটি এখনো মাঠপর্যায়ের কর্মীদের কাছে পাঠানো হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *