জাফলংয়ে চুনাপাথর টিলা ধ্বসে দুই শ্রমিক নিহত

Slider জাতীয়

54231_jf

 

 

 

 

 

 

সিলেট; সংরক্ষিত এলাকা জাফলংয়ের চুনাপাথর টিলা ধ্বসে দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বিকালে পাথর উত্তোলনের সময় টিলার উপরের অংশ ধ্বসে নিহত হয়েছে এ দুই শ্রমিক। গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে- দুঘর্টনার পরই জাফলং ছেড়ে পালিয়েছে টিলাকাটার মুল হোতা ছাতকের আফসর ও তার লোকজন। পুলিশ অভিযান চালালেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তবে- শারপিন টিলা ও বিছনাকান্দি কোয়ারির মতো জাফলং থেকে লাশ সরিয়ে নেয়ার সুযোগ মিলেনি। নিহতদের লাশ পুলিশ ঘটনার পরপরই উদ্ধার করেছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন- আদালতের নির্দেশে এই মূহূর্তে জাফলং কোয়ারিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ রয়েছে। তবে- কোয়ারির পাশ^বর্তী কিছু কিছু এলাকায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র পাথর উত্তোলন করছিল। এর মধ্যে জাফলং জিরো পয়েন্ট ও বিজিবি ক্যাম্পের ঠিক মধ্যখানে অবস্থিত দেশের একমাত্র চুনাপাথর টিলা। এই টিলায় পাথর উত্তোলন বন্ধ। সরকার গবেষনার জন্য এই টিলাকে সংরক্ষিত করে রেখেছে। এখন কেবল ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণার জন্য ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এক শ্রেণীর পাথর খেকো চক্র ক্রমাগতভাবে এই টিলাকে ধ্বংস করে দিচ্ছিল। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। কিন্তু প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোন উদ্যোগ না নেয়ায় এই টিলায় লুটপাট থামানো যাচ্ছিল না। শ্রমিকরা জানিয়েছেন- গেলো কয়েক দিন ধরে আফসর নামে এক ব্যক্তি তার ম্যানেজার হান্নানসহ কয়েকজনের মাধ্যমে টিলা কাটছিল। গতকাল সকাল থেকে ওই টিলা থেকে পাথর উত্তোলনের জন্য ৩০ থেকে ৩৫ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। বিকেল ৫ টার দিকে টিলার নিচের অংশ কেটে কেটে পাথর উত্তোলন করছিল শ্রমিকরা। এ সময় হঠাৎ করে উপরের অংশ ধ্বসে পড়ে। ঘটনাস্থলেই তিন শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়ে। এ সময় অন্য শ্রমিকরা গুরুতর আহত অবস্থায় রাশেদ আহমদ নামের এক শ্রমিককে উদ্ধার করে। সন্ধ্যায় তাকে এনে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর অপর দুই শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়েই থাকে। পরে পুলিশ গিয়ে ধ্বসে পড়া মাটি সরিয়ে দুই শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করে। নিহত দুই শ্রমিক হচ্ছে কামরুজ্জামান ও তাজ উদ্দিন। তিন জনের বাড়ি সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার তেলীখাল গ্রামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *