মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম জানান, পাঁচ দিনের রিমান্ডে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের পর শনিবার সকালে ৬ আসামিকে সিরাজগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
ইন্সপেক্টর মনিরুল আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো নিয়ে কাজ চলছে। আশা করছি ভাল রেজাল্ট পাওয়া যাবে। এই ছয়জনকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আজই আবারও আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
গত সোমবার উল্লিখিত আসামেদের শাহজাদপুর উপজেলা আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. হাসিবুল হকের আদালতে হাজির করে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে প্রত্যেকের পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের প্রয়োজনে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছিল। একই দিন মেয়রের ভাই হাফিজুল হক পিন্টু’র বিরুদ্ধে ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মারপিটের মামলায় রিমান্ড আবেদন করা হলেও শুনানী শেষে বিচারক তা খারিজ করে দেন।
প্রসঙ্গত, গত ২রা ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগ নেতা বিজয় মাহমুদকে মারধর করে মেয়র মিরু’র ভাই পিন্টু। এতে বিজয়ের হাত-পা ভেঙ্গে যায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও বিজয়ের স্বজনরা মেয়রের বাসার সামনে মিছিল নিয়ে গিয়ে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। এসময় মেয়র মিরু ও তার ভাই মিন্টু শটগান দিয়ে গুলি ছুঁড়তে থাকে। একপর্যায়ে কার্তুজের একটি লেট বল কর্তব্যরত সমকাল সাংবাদিক আব্দুল হাকিম শিমুলের চোখের ভিতর দিয়ে মাথায় ভিতরে প্রবেশ করায় গুরুতর আহত হন তিনি। প্রথমে তাকে বগুড়া ও পরের দিন উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়ে সারাদেশের গণমাধ্যম কর্মীরা। সাংবাদিক শিমুলের স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে পৌর মেয়র হালিমুল হক মিরুকে প্রধান আসামী করে ১৮ জন নামীয়সহ অজ্ঞাত আরো ২০/২৫ নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা শ্যামলী এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মেয়র মিরুকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় বিজয় মাহমুদের চাচা এরশাদ আলীও প্রায় একই আসামীদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন। এ ২টি মামলায় পুলিশ এখন পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করেছে। বর্তমানে সবাই জেলা কারাগারে রয়েছে।