ডেস্ক; যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতার মেয়াদ হলে স্বল্পকালীন। তিনি হতে পারেন ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময় ক্ষমতায় থাকা দ্বিতীয় প্রেসিডেন্ট। তার ক্ষমতার মেয়াদ হতে পারে ৩১ থেকে ১৯৯ দিনের মধ্যে। এমন পূর্বাভাস দিয়েছেন শীর্ষ স্থানীয় ইতিহাসবেত্তা ও লেখক প্রফেসর রোনাল্ড এল ফেইনম্যান। এ খবর দিয়েছে লন্ডনের অনলাইন দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।
এতে বলা হয়েছে, প্রফেসর ফেইনম্যান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট পদে ১৮৪১ সালে মাত্র ৩১ দিন ক্ষমতায় ছিলেন প্রেসিডেন্ট উইলয়াম হেনরি হ্যারিসন। তিনি নিউমোনিয়ায় মারা যান। অন্যদিকে ক্ষমতায় যাওয়ার পর ১৯৯ দিন পর ১৮৮১ সালে মারা যান জেমস এ. গারফিল্ড। তাকে আততায়ী গুলি করেছিল। গুলি লাগার পর ভয়াবহ দুর্ভোগ সহ্য করে তিনি ৭৯ দিন পর মারা যান। প্রফেসর ফেইনম্যান বলছেন, সবচেয়ে কম সময় ক্ষমতায় ছিলেন উইলিয়াম হেনরি হ্যারিসন। তার পরে দ্বিতীয় সবচেয়ে কম সময় ক্ষমতার মালিক হতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ১২তম প্রেসিডেন্ট জাচারি টেইলর ক্ষমতায় ছিলেন ১৬ মাস ৫ দিন। পাকস্থলির অসুস্থতায় ১৮৫০ সালে তিনি মারা যান। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার মেয়াদকাল উত্তীর্ণ হতে পারবেন না বলে মনে করেন প্রফেসর ফেইনম্যান। যুক্তরাষ্ট্রে ইতিহাস নিয়ে লেখালেখি করা এই প্রফেসর শীর্ষ স্থানীয়। সম্প্রতি তিনি একটি বই লিখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের দুর্ভাগ্যজনক পরিণতি নিয়ে। তিনি বলেছেন, তার মতে যুক্তরাষ্ট্রে ‘পেন্স প্রেসিডেন্সি’ অপরিহার্য। তিনি বুঝাতে চেয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সই হতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট, যদি তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছ থেকে ক্ষমতা নেন। নিজের লেখা এক ব্লগে প্রফেসর ফেইনম্যান লিখেছেন, তিনি মনে করে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে অভিশংসন করা হবে অথবা তাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। রাশিয়ার কূটনীতিকের সঙ্গে টেলিফোনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে দেয়া অবরোধ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল সদ্য বিদায়ী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের। সে বিষয়ে তিনি প্রেসিডেন্টকে অবহিত করেন নি- হোয়াইট হাউজ এমনটা স্বীকার করার অল্প পরেই পদত্যাগ করেন মাইকেল ফ্লিন। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনে এক বিশৃংখলা দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রিপাবলিকান দলের প্রথম সারির নেতা ও এর আগে দলীয় টিকিটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করে পরাজিত প্রার্থী জন ম্যাককেইন। ঠিক এ রকম অবস্থায় ট্রাম্প প্রশাসন নিয়ে ওই পূর্বাভাস দিলেন প্রফেসর ফেইনম্যান। তিনি শিক্ষকতা করেন ফ্লোরিডা আটলান্টিক ইউনিভার্সিটিতে। বলেন, ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিকে পরিণত হয়েছেন ট্রাম্প। তিনি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য যোগ্য নন। তিনি বলেন, ট্রাম্পের আচরণ, প্রতি বার তিনি জনসমুক্ষে যে ভাষা ব্যবহার করছেন, টুইটারে যে মন্তব্য করছেন, তাতে পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞরা তাদের মাথা নাড়াচ্ছেন নেতিবাচক অর্থে। এতে তার অস্থিতিশীলতা ও বেপরোয়া ভাব প্রকাশ পেয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা নিয়ে নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনায় বসার। প্রফেসর ফেইনম্যান বলেন, এতে তার দায়িত্বহীনতার প্রকাশ পেয়েছে।