জবানবন্দিতে নজরুল ইসলাম বলেন, গত ১৩ জানুয়ারি সকালে স্ত্রী রহিমা আক্তার (২৮) ও ছেলে আমিরুল ইসলামকে বেড়ানোর কথা বলে তিনি বাড়ি থেকে বের করেন। সন্ধ্যার পর এগারসিন্দুর ইউনিয়নের মিরারটেক বিলের পাশের সেতুতে তাঁদের নিয়ে যান। তিনি প্রথমে সেতুর ওপর থেকে ছেলে আমিরুলকে বিলের পানিতে ছুড়ে মারেন। এরপর স্ত্রী রহিমাকে টেনেহিঁচড়ে বিলে এনে পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করে কচুরিপানা দিয়ে লাশ দুটি ঢেকে পালিয়ে যান।
থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্র জানায়, রহিমা আক্তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। কয়েক মাস আগে নজরুল ইসলামের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে উঠলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হন। এ পরিস্থিতিতে রহিমার পরিবার নজরুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। এ নিয়ে গ্রামে সালিস বৈঠকও হয়। মাস দু-এক আগে রহিমা ছেলেসন্তানের জন্ম দেন। ১০ জানুয়ারি স্থানীয় মাতবরদের চাপে রহিমাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন নজরুল। ১৩ জানুয়ারি নজরুল সন্তানসহ রহিমাকে বেড়াতে নিয়ে যান। এরপর তাঁরা নিখোঁজ ছিলেন। ২১ জানুয়ারি মিরারটেক বিল থেকে পুলিশ রহিমার গলিত লাশ উদ্ধার করে। একই জায়গা থেকে ৩১ জানুয়ারি আমিরুলেরও গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর থেকে নজরুল মা-বাবাসহ পলাতক ছিলেন।
এ ঘটনায় রহিমার বড় ভাই আবদুল আওয়াল ২২ জানুয়ারি নজরুল, তাঁর ভাই দ্বীন ইসলাম, বাবা সোহরাব উদ্দিন ও মা মদিনা খাতুনের বিরুদ্ধে পাকুন্দিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় দ্বীন ইসলামকে আগেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে ফেনীর দাগনভূঞা এলাকার এক স্বজনের বাড়ি থেকে নজরুল, সোহরাব উদ্দিন ও মদিনা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসআই মতিউর রহমান বলেন, নজরুলের জবানবন্দি শেষে আসামিদের কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয়েছে।