চাঁপাইনবাবগঞ্জ; ছোট শিশু সুমাইয়া খাতুন (৭) ও মেহজাবিন আক্তার (৬) সহপাঠী। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বাইরে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় তারা। এর দুদিন পর গতকাল মঙ্গলবার প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ির শোবার ঘরে খাটের নিচে বস্তাবন্দী অবস্থায় তাদের লাশ পাওয়া গেছে। এ ঘটনা চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নামোশংকরবাটীর ভবানীপুর-ফতেপুর মহল্লার।
নিহত সুমাইয়া খাতুনের খালাতো ভাই আবু তালেব বলেন, সুমাইয়া ভবানীপুর-ফতেপুর মহল্লার মিলন রানার মেয়ে ও পৌর এলাকার ছোটমণি বিদ্যানিকেতনের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সহপাঠী মেহজাবিন প্রতিবেশী আবদুল মালেকের মেয়ে। রোববার বেলা ১১টার দিকে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে বাইরে খেলতে যায় তারা। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খুঁজেও তাদের পাওয়া যায়নি। এরপর গতকাল বিকেলে সুমাইয়ার স্বজনেরা প্রতিবেশীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজা শুরু করেন। তাঁরা সাড়ে পাঁচটার দিকে প্রতিবেশী ভ্যানচালক মো. ইয়াসিনের বাড়িতে যান। সেখানে তাঁর প্রবাসী ছেলে মো. ইব্রাহীমের (৩৫) স্ত্রী লাকী আক্তার (২৪) ইতস্তত শুরু করেন। এতে সন্দেহ দেখা দিলে জোর করে তাঁরা ঘরে ঢুকে লাকীর শোয়ার ঘরে খাটের নিচ থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় সুমাইয়া ও মেহজাবিনের লাশ পান। পুলিশকে খবর দিলে তাঁরা এসে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে লাশ উদ্ধার করে।
আবু তালেব জানান, সুমাইয়া, মেহজাবিন ও লাকী আক্তারের মেয়ে ইমন সহপাঠী। তিন শিশুই একসঙ্গে খেলাধুলা করত।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাযহারুল ইসলাম বলেন, লাকী আক্তারসহ চারজনকে এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নিখোঁজ শিশু দুটির সঙ্গে থাকা স্বর্ণালংকারের লোভে এমন ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শিশু দুটি নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় ওই দিনই মেহজাবিনের বাবা আবদুল মালেক থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি আরও বলেন, গতকাল গ্রেপ্তার হওয়া লাকী, ইয়াসিন ও ইয়াসিনের স্ত্রী তানজিলা বেগম প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। এর আগে শিশু দুটি নিখোঁজ হওয়ার পর গীতা রানী নামে আরেক প্রতিবেশীকে গ্রেপ্তার করা হয়।