এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ “ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ফুলের হাতবদল বেশ প্রচলিত একটি রীতি। যেকোনো দিবসে বা উৎসবে প্রিয়জনের মুখে হাসি দেখতে হলে একটি ফুলই তো যথেষ্ট। একদিকে ভালোবাসার রং আর অন্যদিকে ফুল হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ এ দু’য়ে মিলে গোলাপের ব্যবহারটা সবথেকে বেশি। বলতে গেলে ফুলের বাজারে গোলাপের দাপটটাই সবথেকে বেশি। এরপরই রয়েছে গাঁদা কিংবা রজনীগন্ধা ফুলের দাপট।”
এভাবেই বর্তমান ফুলের বাজার এবং চাহিদা সম্পর্কে জানালেন ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণকেন্দ্র চৌরাস্তার ফুল কর্ণারের মালিক মীযান। তার দোকানে প্রতিদিন ২-৩ হাজার টাকার ফুল বিক্রি হলেও পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ৫ থেকে ১০ গুণ বেশি ফুল বিক্রি হয়।
এমাসে পহেলা ফাল্গুন, বিশ্ব ভালোবাসা দিবস, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বেশ কিছু দিবস রয়েছে। এসময় ফুলের চাহিদাও থাকে অনেক বেশি। এসময় ক্রেতাদের অতিরিক্ত চাহিদার কথা মাথায় রেখে ফুলের যোগানও থাকে বেশি।
ফুল কিনতে আসা নুরে আলম সিদ্দিক জানান, “আমি আমার স্ত্রীর জন্য একজোড়া গোলাপ কিনতে এসেছিলাম। তবে ৫ টাকা দামের গোলাপ কিনতে হলো ১৫ টাকা দিয়ে।”
ফুলের দোকানদারদেকে অতিরিক্ত দামের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি কম যোগানের অজুহাত দেখান।
দাম যাই হোক, ক্রেতারা তাদের কাঙ্ক্ষিত ফুলটি ঠিকই হাসি মুখে ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। আর এভাবেই ভালোবাসা আর সম্প্রীতি ছড়িয়ে পড়ছে প্রতিটি বাঙালির অন্তরে।