ডেস্ক; পর্নো ছবিতে সয়লাব ইন্টারনেট। এতে আসক্ত হয়ে পড়ছে অপ্রাপ্ত বয়স্করা। ফলে শিশুরাও জড়িয়ে পড়ছে যৌন অপরাধে। এর পক্ষে প্রমাণ মিলেছে বৃটেনে। সেখানে দেখা গেছে, চার বছর আগের তুলনায় এখন ১৭ বছরের কম এমন বয়সী টিনেজাররা দ্বিগুন বেশি ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত।
গত সপ্তাহেও বৃটেনের সান্দারল্যান্ডে মাত্র ১১ বছর বয়সী একটি বালককে সাত দফা ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০১৫ সালে সেখানে ধর্ষণের জন্য অভিযুক্ত হয়েছে ১২০ জন টিনেজার। ২০১১ সালের তুলনায় এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে শতকরা ৭৪ ভাগ। ধর্ষণের দায়ে যেসব টিনেজ অভিযুক্ত হচ্ছে তাদের মধ্যে শতকরা ৯৪ ভাগই ১৪ বছর বয়সের মধ্যেই পর্নো ছবি দেখেছে। ইন্টারনেটে পর্নো ছড়িয়ে পড়ার ভয়াবহ এক চিত্র ফুটে ওঠে এতে। ইন্টারনেট যুগে অনেক সাইটেই ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে পর্নোগ্রাফি। শুধু পর্নো বিষয়ক সাইটই নয়, অনেকে টিনেজারদের উস্কানি দিচ্ছে পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত হতে। বৃটেনের একজন মন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন এমন পরিস্থিতিতে। তিনি বলেছেন, ভয়াবহ পর্নোগ্রাফি শিশুদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে ধর্ষণে শক্তি যোগাচ্ছে। শিশুরা মোবাইল ফোন বা ল্যাপটপে যেসব পর্নোগ্রাফি দেখে সে মতো আচরণ করতে চেষ্টা করে। ফলে ধর্ষণ বাড়ছে। বাড়ছে যৌন অপরাধ।
গত সস্পাগে সান্দারল্যান্ডের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১১ বছর বয়সী একটি বালক স্বীকার করেছে অনলাইনে দেখা ভয়াবহ সব পর্নো ছবি দেখে সে ধর্ষণ ও যৌন অপরাধে জড়িয়ে পড়তে উৎসাহিত হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হয়েছে তাতে দেখা গেছে, ২০১১ সালে যৌন অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছিল ৬৯ জন টিনেজ। ২০১৫ সালে সে সংখ্যা ১২০। আইনমন্ত্রী ফিলিপ লি এক সম্মেলনে এসব বিষয় প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন,ধর্ষণের জন্য যে ১২০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে ৪৬ জনকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। ৬১ জনকে সামাজিক শৃংখলা বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ১৩ জনকে অন্য উপায়ে সংশোধন করা হয়েছে। গড়ে তাদেরকে নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে ৪৪ মাস। এর আগে লন্ডনের ডেইলি মেইল ১৮ বছরের নিচে বয়স এমন টিনেজারদের জন্য পর্নো সাইট স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ করে দেয়ার জন্য একটি প্রচারণা শুরু করে।