সিলেট প্রতিনিধি :: আন্তর্জাতিক মুফসসিরে কোরআন মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরী বলেছেন, যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ মানুষকে আল্লাহর পথে ডেকেছেন এবং মূর্তি ধ্বংস করেছেন।
অথচ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জনসংখ্যা অধ্যুষিত বাংলাদেশের গণ-মানুষের আস্থার প্রতীক সর্বোচ্চ বিচারালয় সুপ্রিমকোর্ট প্রাঙ্গণে গ্রিক দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। যার কারণে ধর্মপ্রাণ মুসলিম নাগরিকদের মাঝে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এবং জাতীয় ঈদগাহের পাশে গ্রিক দেবীর মূর্তি স্থাপন করেছে। একটি বিজাতীয় দেবী মূর্তিকে পাশে নিয়ে এদেশের মুসলমানরা পবিত্র ঈদের প্রধান জামায়াতে নামাজ আদায় করবে- তা কল্পনাও করা যায় না। মসজিদের শহর ঢাকা নগরীতে মূর্তি স্থাপন দেশবাসী মেনে নেবেনা।
মসজিদের শহর ঢাকা নগরীতে মূর্তি স্থাপন দেশবাসী করতে দেবেনা।
তিনি অবিলম্বে সুপ্রিম কোর্টের সামন থেকে মূর্তি অপসারণের জোর দাবী জানান।
তিনি গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারী রোববার মধ্যরাতে খাদিমুল কোরআন পরিষদ সিলেটের উদ্যোগে নগরীর ঐতিহাসিক সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে তিনদিন ব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মহাসম্মেলনে সমাপনী দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
মহাসম্মেলনের বিভিন্ন অধিবেশনে সদরে জমিয়ত খলিফায়ে মাদানী আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী, জামিয়া মাদানিয়া আঙ্গুরা মুহাম্মদপুরের মহাপরিচালক মাওলানা শায়খ জিয়াউদ্দিন, জামিয়া ক্বাসিমুল উলুম দরগাহ মাদরাসাশায়খুল হাদীস মুফতি মুহিব্বুল হক্ব গাছবাড়ী, মাওলানা শায়খ আব্দুস শহীদ গলমুকাপনী ও মাওলানা আছগর হোসেন ইউকে’র সভাপতিত্বে ওলিপুরী বলেন, আহলে হাদীস নামে একটি ভ্রান্ত মতবাদে বিশ্বাসী দল সমাজে সরলমনা মুসলমানদের বিভ্রান্ত করছে।
এদের ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।
তিনি আরো বলেন, পীরের নামে কিছু ভন্ডামী পীর মুসলমানদের গোমরা বানাচ্ছে। এ বিষয়ে সর্তক হয়ে হক্কানী পীরদের অনুসরণ করতে হবে। কোন পীর জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে না।
নিজে আমল-আখলাক ঠিক করতে হবে। তবেই আল্লাহ জান্নাত দিবেন।
শুরুতে পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন হাফিজ ক্বারী রুহুল আমীন।
পরিষদের সভাপতি মাওলানা আবুল হাসান ফয়সল, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল মতিন নবীগঞ্জী, নির্বাহী সদস্য মাওলানা নজরুল ইসলাম যৌথ পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে তাফসির পেশ করেন আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী, হরিপুরবাজার মাদরাসার মুহাদ্দিস নজরুল ইসলাম তোয়াক্কুলী।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মনছুরুল হাসান রায়পুরী, শাহবাগ জামেয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা ক্বারী আব্দুল হাফিজ, মাওলানা ইমদাদুল্লাহ, প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, হাফেজ মাওলানা হাফিজুল ইসলাম লস্কর, হাফেজ মাওলানা শামছুজ্জান প্রমুখ।