এর আগে চলতি এসএসসির বাংলা দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষার প্রশ্নও ফাঁস হওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তবে কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে এসএসসি, জেএসসিসহ বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, পাবলিক পরীক্ষায় বিভিন্ন সময়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হলেও চক্রটির উৎস বের করতে পারছে না সরকার। এ কারণে বারবার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের সূত্র জানিয়েছে, এর আগে কয়েকটি পরীক্ষার সময় তাদের কাছে অভিযোগ ছিল, পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে আগে কোনো কোনো কেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খুলে কিছু অসাধু শিক্ষক মোবাইলে ছবি তুলছেন। তারপর পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ছবিগুলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে। এ জন্য এবার পরীক্ষার কেন্দ্রে ছবি তোলা যায়, এমন মোবাইল নেওয়াও নিষিদ্ধ করা হয়। এরপরও একই ধরনের অভিযোগ উঠল।
এর আগে ২০১৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দেশে আলোচনার ঝড় উঠলে তদন্ত শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তদন্তে প্রমাণ হয়, ঢাকা বোর্ডের অধীন এইচএসসি পরীক্ষার ইংরেজি ও গণিত (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্নপত্র হুবহু ফাঁস হয়। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের নমুনা ফরিদপুর থেকে পাওয়া গেলেও ফাঁসের সুনির্দিষ্ট উৎস বের করতে পারেনি প্রশাসনিক তদন্ত কমিটি। তখন কমিটি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করে উৎস বের করার সুপারিশ করা হলেও উৎস আর বের হয়নি। ২০১৩ সালের প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগও সরকারি তদন্তে প্রমাণিত হয়। কিন্তু তখনো উৎস বের করা যায়নি।