জীনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ!

Slider নারী ও শিশু

53231_thumbM_Jiin

 

 

 

 

 

 

 

ডেস্ক; ধর্ষণের একটি সেনসেশনাল বা স্পর্শকাতর মামলা। ভারতের ভুপালের এক যুবতী অভিযোগ করেছেন তাকে ধর্ষণ করেছে জীনে। এতে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন। এমন দাবি করা হয়েছে সাতনা জেলায়। কিন্তু পরীক্ষায় যখন এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ মেলে নি তখন ওই যুবতী একজন শিক্ষককে দায়ী করেছেন। এতে পরিস্থিতিতে আরো জট লেগেছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, অভিযোগকারী নারী যে শিক্ষকের দিকে আঙ্গুল তুলেছেন তার মেডিকেল পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে দেখা গেছে তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের সামর্থ হারিয়েছেন। প্রথমে পুলিশ ওই শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে। দু’বার তার মেডিকেল পরীক্ষা করানো হয়। তাতে দু’বারই দেখা যায় তিনি নপুংসক। এখন এ মামলাটি সোমবার আদালতে তোলার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম ভগীরথ আহিওয়ার (৩৬)। তিনি সাতনা জেলার বাসিন্দা এবং একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষক। তাকে পান্না এলাকার দিবেন্দ্র নগরে পোস্টিং দেয়া হয়েছে। ওদিকে ১লা ফেব্রুয়ারি ২২ বছর বয়সী ওই যুবতীকে দিবেন্দ্র নগরে একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার গর্ভস্থ সন্তানের পিতার নাম যেখানে লিখতে হবে সেখানে অভিযোগকারী যুবতী তার নিজের পিতার নাম লিখে দেয়। এতে হাসপাতাল কর্মকর্তাদের মধ্যে সন্দেহ জন্ম নেয়। তারা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এলে ওই যুবতী অভিযোগ করে যে, তার কাছে একজন জীন আসতো। এমনকি ওই জীন কি পড়ে আসতো সে সম্পর্কেও সে বর্ণনা দেয়। বলে, ওই জীন তাকে ধর্ষণ করেছে। এতে তিনি গর্ভবতী হয়ে পড়েছেন। এক পর্যায়ে তিনি একটি সন্তান প্রসব করেন। ফিরে যান সাতনা এলাকায়। এবার তিনি পুলিশের অভিযোগ করেন যে, তাকে জীনে নয় ধর্ষণ করেছিল সাবেক একজন শিক্ষক। এ অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ৯ই ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার করে আহিরওয়ারকে। তার মেডিকেল পরীক্ষা করানোর পর চিকিৎসকরা তাকে নপুংসক বলে আখ্যায়িত করেছেন। স্থানীয় পুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ সন্তোষ তিওয়ারি বলেছেন, এখন দৃশ্যত মনে হচ্ছে ওই যুবতীকে আহিরওয়ার ধর্ষণ করে নি। ফলে প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে, তাহলে কে তাকে ধর্ষণ করেছে। ওদিকে অভিযুক্ত আহিরওয়ার এখন রয়েছে জেলে। সোমবার তাকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে। আদালতই মামলার ভবিষ্যত সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *