ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের হামলার ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি বলেন, একটি পক্ষ হবিগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাম্প্রদায়িক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। তবে প্রশাসন শক্ত হাতে দমন করায় তাদের এ ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।
সুরেন্দ্র কুমার সিনহা হবিগঞ্জের বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি হবিগঞ্জে যাঁদের নিয়োগ দিয়েছি, তাঁরা অভিজ্ঞ। অপরাধীদের জামিন দেওয়ার প্রবণতা কমায় হবিগঞ্জে অপরাধ প্রবণতা অনেকটা কমেছে।’
শচীঅঙ্গন ধামের সভাপতি নিখিল চন্দ্রের সভাপতিত্বে উৎসবে বক্তব্য দেন হবিগঞ্জ-১ আসনের সাংসদ এম এ মুনিম চৌধুরী, জেলা প্রশাসক সাবিনা আলম, পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব কুমার ভদ্র, বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই, সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কাদির চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতির শিক্ষক বিজিত কুমার দেব প্রমুখ।
পরে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা কলকাতার অধ্যাপক সমরেশ দাশ রচিত ‘শ্রী চৈতন্য পরিক্রমা’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের স্পেশাল অফিসার বেগম হোসনে আরা আকতার, প্রধান বিচারপতির একান্ত সচিব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ও হাইকোর্ট বিভাগের ডেপুটি রেজিস্ট্রার বেগম ফারজানা ইয়াসমিন।
এর আগে শচীঅঙ্গন ধাম কর্তৃপক্ষ ফুল দিয়ে প্রধান বিচারপতিকে শুভেচ্ছা জানায়। পরে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। তিনি কিছু সময় শচীঅঙ্গন ধামের ভেতর অবস্থান করে পুজো-অর্চনা শেষ করে ধামের পাশে একটি বকুল ফুলের চারা রোপণ করেন।