আজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে আবেদনটি উপস্থাপন করেন আইনজীবী মাহবুবউদ্দিন খোকন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া।
পরে জাকির হোসেন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলার একটি অংশের বিষয়ে তদন্তের জন্য বিচারিক আদালতে আবেদন করা হয়। আদালত তা নিষ্পত্তি না করে ৩৪২ ধারায় বক্তব্য পরীক্ষা করার জন্য রাখেন। এরপর আমরা ওই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে একটি আবেদন দিই। ২ ফেব্রুয়ারি আবেদনটি খারিজ করেন আদালত। এরপর আদালত বদলের নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করেন খালেদা জিয়া।’ তিনি আরও বলেন, এ আবেদনে মামলাটি কেন ওই আদালত থেকে অন্য আদালতে বদলির নির্দেশ দেওয়া হবে না, এ মর্মে রুল চাওয়া হয়েছে। রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় মামলার কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট-সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের শুনানিতে হাজির হয়ে খালেদা জিয়া আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছিলেন। ওই দিন দুই পক্ষের আইনজীবীদের তুমুল হট্টগোলের মধ্য দিয়ে শুনানি শেষ হয়। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চান ‘তিনি (খালেদা জিয়া) দোষী না নির্দোষ?’ সে সময় খালেদা জিয়া আদালতের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বলেন, তাঁর আইনজীবীরা আদালতের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন। তিনিও আদালতের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছেন।