এদিকে মন্ত্রী হাজির হওয়ায় আজ আদালত প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও ভিড় জমান।
দুদকের আইনজীবী কাজী সানোয়ার আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, নগরের ডবলমুরিং থানায় দুদকের করা একটি মামলায় মন্ত্রী মোশাররফ, প্রয়াত সাবেক সাংসদ ও আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল আনোয়ার, তাঁর ভাই ফখরুল আনোয়ারের বিরুদ্ধে দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। রফিকুল আনোয়ার মারা যাওয়ায় প্রতিবেদন চেয়েছেন আদালত। পরে আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন মন্ত্রী মোশাররফ ও ফখরুল আনোয়ার। আদালত দুজনের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। আগামী ধার্য দিনে এই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য রাখেন আদালত।
দুদক আইনজীবী আরও বলেন, নগরের আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকায় চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জনস্বার্থে পার্কিং প্লেসের জন্য ১ দশমিক ৪৪ বিঘা জমি রাখে। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সালে ক্ষমতায় থাকাকালে মন্ত্রী ক্ষমতার অপব্যবহার করে রফিকুল আনোয়ারের ভাই ফখরুল আনোয়ারকে ৪ কোটি ৬১ লাখ ৯২ হাজার ৫০৭ টাকায় একটি তিন তারকা হোটেল নির্মাণের জন্য দলিল সম্পাদন করেন। সরকারি জমি বরাদ্দের শর্ত ভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২২ নভেম্বর নগরের ডবলমুরিং থানায় দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মন্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। তদন্ত শেষে তিনি পরের বছরের ৩০ জুলাই আদালতে মন্ত্রীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মামলাটির বিচার শুরু হওয়ার আগে আসামিরা মামলাটি খারিজের জন্য হাইকোর্টে ২০০৮ সালে আবেদন করেন। ২০১২ সালের ২০ নভেম্বর হাইকোর্ট তা মঞ্জুর করেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে দুদক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল করেন। গত বছরের ৮ মে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ খারিজ করে মামলাটি যে অবস্থায় ছিল, সেই অবস্থা থেকে চালু করতে নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ আসার পর আজ ধার্য দিনে মামলাটির কার্যক্রম আবার শুরু হলো।