বিবিসির খবরে জানানো হয়, স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করে। আপিলকারীদের মধ্যে ট্রাম্প ছাড়াও হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রী জন কেলি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন রয়েছেন।
আপিলে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, যুক্তরাষ্ট্রকে নিরাপদ রাখতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করতে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এর আগে একাধিক টুইটে ট্রাম্প বিচারক জেমস রবার্টের দেওয়া স্থগিতাদেশের সমালোচনা করেন।
আদালতের স্থগিতাদেশের ফলে সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকেরা এখন যুক্তরাষ্ট্রে ঢোকার আইনি বৈধতা পেয়েছেন। এরই মধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থা ওই দেশগুলোর ভ্রমণকারীদের তাঁদের ফ্লাইটে বহন করা হবে বলে জানিয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশে ইরান, ইরাক, সিরিয়া, ইয়েমেন, লিবিয়া, সোমালিয়া ও সুদানের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ওপর ৯০ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এ দেশগুলোর ভিসা পাওয়া লোকজনও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারছিলেন না। অনেকে শেষ মুহূর্তে বিমানবন্দরে এসে আটক হন। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের শরণার্থী গ্রহণের কর্মসূচি ১২০ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়। যুদ্ধকবলিত সিরিয়ার শরণার্থীদের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ অনির্দিষ্টকাল।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ফলে ওই সাতটি দেশে দেওয়া প্রায় ৬০ হাজার মার্কিন ভিসা বাতিল হয়ে গিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের কাস্টমস বিভাগ বলেছে, ওই ভিসাগুলো এখন আবার ইস্যু করা হবে আর সে ভিসা পাওয়া ব্যক্তিরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণও করতে পারবেন।