এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ২০১৭ শিক্ষাবর্ষের জানুয়ারি পেরিয়ে এখন চলছে ফেব্রুয়ারি মাস। তবে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেও শিক্ষার্থী খুঁজতে নানা বিজ্ঞাপন নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্কুল, কিন্টারগার্টেনের শিক্ষক-প্রতিনিধিবৃন্দ। বছরের শেষ ২ মাস মাইকিং করার পরেও আশানুরূপ শিক্ষার্থী ভর্তি না হওয়ায় শিক্ষার্থী জোগাড় করতে এই প্রতিযোগিতা শুরু করেছে পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের স্কুল, কিন্টারগার্টেনগুলো।
বুঝিয়ে শুনিয়ে অভিভাবকদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ। কারণ, মন জয় করতে পারলেই মিলবে শিক্ষার্থী। কেউবা স্বল্প বেতনে পড়ানোর প্রলোভন দেখাচ্ছেন, কেউবা ভালোমানের কথা বলছেন। কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শিক্ষার্থী সংগ্রহের নানান কৌশল সম্পর্কে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডটিতে ৬-৭ টি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কিন্টারগার্টেন, কিন্টারগার্টেনভিত্তিক স্কুল) গড়ে উঠেছে। যাদের বয়স ১-২ বছর, তন্মধ্যে ২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবারই প্রথম পাঠদান শুরু করেছে।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানান, বর্তমানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মন জয় করাটাও অতীব জরুরি। সেজন্য আমরা অভিভাবকদের দ্বারেদ্বারে গিয়ে লিফলেট দেওয়ার পাশাপাশি মুখে আমাদের প্রতিষ্ঠানের গুণাগুণ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
পূর্ব গোয়ালপাড়ার ইসলামনগরনিবাসী দূরবীন শিল্পীগোষ্ঠীর সহকারী পরিচালক মো. নুরে আলম সিদ্দীক জানান, তার বাসায় স্কুলগামী শিশু আছে জেনে এ পর্যন্ত ৫-৬ টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এসেছেন। বছরের শুরুতেও তাদের অনেকে পুনরায় আসছেন।
শিক্ষাবর্ষ শুরুর পরেও শিক্ষাদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থী সংগ্রহ অভিযান চলমান থাকায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকসহ সাধারণ মানুষ।