ডেস্ক; মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর দেশটির সামরিক বাহিনীর আগ্রাসনে কয়েক শ ব্যক্তি হত্যার শিকার হয়েছে। বর্বোরচিত নির্যাতন চালানো হয়েছে তাদের ওপর। ৮ মাস বয়সী শিশুও সেনাদের রোষানল থেকে মুক্তি পায়নি।
একদিকে ওই শিশুর মাকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। অপরদিকে নির্দয়ভাবে হত্যা করা হয়েছে শিশুটিকে। শুক্রবার প্রকাশিত জাতিসংঘের এক রিপোর্টে এমন বিভীষিকাময় নিপীড়নের বর্ণনা উঠে এসেছে। রাখাইন রাজ্যে ১০ ই অক্টোবর শুরু হওয়া সামরিক অভিযানের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে রিপোর্টে বলা হয়, ‘এলাকা নির্মূল অভিযানে কয়েশ মানুষ নিহত হওয়ার ধারণা করা যায়।’ বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ২০৪ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীর সাক্ষাতকারের ভিত্তিতে জাতিসংঘ রিপোর্টটি প্রস্তুত করেছে। এতে আরও বলা হয়, সম্ভাবনা অনেক বেশি যে মিয়ানমারে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগেও জাতিসংঘের একাধিক কর্মকর্তা একই অভিযোগ করেছেন। ভুক্তোভোগীরা বিভীষিকাময় দমনপীড়নের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাদের অভিযোগ সেনাবাহিনী ও পুলিশের পাশাপাশি মিয়ানমারের অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ও বেসামরিক যোদ্ধারা এসব নির্যাতন চালিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্বৃত করে রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৮ মাস বয়সী এক শিশুকে হত্যার পাশাপশি তার মাকে গণধর্ষণ করে নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ সদস্য। জাতিসংঘ আরও বলেছে, তাদের কাছে ৬ বছর ও এর কম বয়সী তিন শিশুকে ছুরি দিয়ে হত্যা করার রিপোর্ট আছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ বিন রা’দ জেইদ আল হুসেইন এক বিবৃতিতে প্রশ্ন রাখেন, ‘কোন ধরণের ঘৃণা একজন মানুষকে মায়ের দুধের জন্য কাঁদতে থাকা শিশুকে ছুরিকাঘাত করাতে পারে? এটা কি ধরণের নির্মূল অভিযান? এতে জাতীয় নিরাপত্তার কোন লক্ষ্যমাত্রা উদ্ধার হতে পারে?