ট্রাম্পের পূর্বসূরি ওবামা প্রশাসনের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার শরণার্থী পুনর্বাসন চুক্তি হয়। ওই চুক্তি অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় চাওয়া এক হাজার ২৫০ জন শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে পুনর্বাসন করার কথা।
অস্ট্রেলিয়া দীর্ঘদিন ধরেই শরণার্থীদের গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। দেশটি শরণার্থীদের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নাউরু ও পাপুয়া নিউগিনিতে শরণার্থীশিবিরগুলোতে আটকে রেখেছে। এসব শরণার্থীর বেশির ভাগই ইরান, ইরাক ও আফগানিস্তানের।
গত শুক্রবার ট্রাম্প নির্বাহী আদেশে সাময়িকভাবে শরণার্থীদের ও সাতটি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এরপর অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী টার্নবুল শরণার্থী পুনর্বাসন চুক্তির ভবিষ্যৎ নিয়ে স্পষ্ট ধারণা পেতে চান।
জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প ও টার্নবুলের মধ্যে এক ঘণ্টা ব্যাপী ওই ফোনালাপ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ট্রাম্প ২৫ মিনিট পরই ফোন কেটে দেন।
তবে ওই ফোনালাপের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, উভয় নেতা ‘যুক্তরাষ্ট্র-অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন’।
সোমবার টার্নবুল ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চুক্তি সমুন্নত রাখার জন্য তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান।
ওই চুক্তির প্রতি সম্মান দেখানো হবে—ট্রাম্পের কাছ থেকে এমন নিশ্চয়তা পেতে চান টার্নবুল। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শরণার্থীদের গ্রহণ করার মানে হলো যুক্তরাষ্ট্র ‘বোস্টনের পরবর্তী হামলাকারীকে’ গ্রহণ করা। যদিও বোস্টনের হামলাকারীরা ছিল রাশিয়ার ককেশাস অঞ্চলের।
ওয়াশিংটন পোস্টের খবর প্রকাশের পর গতকাল বুধবার টুইট বার্তায় ওই চুক্তির বিষয়ে নতুন করে অনিশ্চয়তার ইঙ্গিত দেন ট্রাম্প।
পরবর্তীতে টার্নবুল বলেন, ওই ফোনালাপ নিয়ে প্রকাশিত খবরে তিনি হতাশ। ওই ফোনালাপকে তিনি ‘খোলাখুলি ও স্পষ্ট’ বলে বর্ণনা করেন। সিডনির একটি রেডিও স্টেশনকে তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ফোন কেটে দেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা ঠিক নয়।’