মন্ত্রী বলেন, আগে তাঁরা দলবল নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতেন। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের অসুবিধা এড়াতে গত তিন বছর ধরে সংশ্লিষ্ট দু-একজনকে নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়েছেন। এবারও তাই করেছেন।
সকাল ১০টার দিকে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ১৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬১৩ জন শিক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৯০ জন।
এবার আটটি সাধারণ বোর্ডের অধীন এসএসসি পরীক্ষার্থী ১৪ লাখ ২৫ হাজার ৯০০ জন। মাদ্রাসা বোর্ডের দাখিলে পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৫৬ হাজার ৫০১ জন ও কারিগরি বোর্ডের অধীন এসএসসি (ভকেশনাল) পরীক্ষার্থী ১ লাখ ৪ হাজার ২১২ জন। প্রথম দিনে আজ এসএসসিতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য বলছে, ১০ বোর্ডের অধীনে দুই বছর আগে ১৮ লাখ ৯৩ হাজার ৯৫৩ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন (রেজিস্ট্রেশন) করলেও নিয়মিত এসব শিক্ষার্থীর মধ্যে পরীক্ষা দিচ্ছে ১৬ লাখ ৭ হাজার ১২৪ জন। অর্থাৎ নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৬ হাজার ৮২৯ জন নিয়মিত শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে না। এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলে দশম শ্রেণির নির্বাচনী (টেস্ট) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়।
এবার প্রশ্নপত্রে এমসি কিউ অংশের ১০ নম্বর কমিয়ে সৃজনশীলে ১০ নম্বর বাড়ানো হয়েছে। অর্থাৎ, ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হলে সেখানে এমসি কিউ অংশের নম্বর হবে ৩০ এবং সৃজনশীল অংশের নম্বর হবে ৭০।
সময়সূচি অনুযায়ী তত্ত্বীয় পরীক্ষা আগামী ২ মার্চ শেষ হবে এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা ৪ মার্চ শুরু হয়ে ১১ মার্চ শেষ হবে।