ঢাকা; গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লিতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় পুলিশের কিছু সদস্য সরাসরি জড়িত উল্লেখ করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। প্রতিবেদনের বলা হয়েছে, সাঁওতালদের বাড়ি-ঘরে আগুন লাগানোর ঘটনার জন্য স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি এবং ওই ঘটনার সময়ে দায়িত্বরত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কতিপয় সদস্য দায়ী।
এই আগুন লাগানোর ঘটনার সাথে দুইজন পুলিশ সদস্য ও একজন ডিবি সদস্য সক্রিয়ভাবে জড়িত। তবে ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের কারও নাম এই তদন্ত প্রতিবেদনে আসেনি।
গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. শহিদুল্লাহ রোববার সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই প্রতিবেদন দাখিল করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু ৬৫ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনের সংক্ষিপ্তসার মঙ্গলবার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। মোতাহার হোসেন সাজু পরে সাংবদিকদের বলেন, রিট আবেদনকারীসহ মামলার সব পক্ষ এই প্রতিবেদনের কপি এখনও পায়নি। প্রতিবেদনটি আদালতে উপস্থাপন করা হলেও শুনানি হয়নি। আদালত ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সবাইকে কপি পাঠাতে সুপ্রিম কোর্টের পেপার বুক শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে। ৭ ফেব্রুয়ারি বিষয়টি আদেশের জন্য আসবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাজু জানান, ৬৫ পৃষ্ঠার মূল প্রতিবেদনের সঙ্গে ১০০১ পৃষ্ঠার আনুষঙ্গিক কাগজ-পত্র জমা দিয়েছেন গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম।
এর আগে গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতালপল্লিতে অগ্নিসংযোগে পুলিশ জড়িত কি না, সে বিষয়ে তদন্তের জন্য গাইবান্ধার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। ওই নির্দেশ মোতাবেক গাইবান্ধার মুখ্য বিচারিক হাকিম ঘটনার তদন্ত করে আদালতে এই প্রতিবেদন দাখিল করেন।