মায়ের ছোঁয়া”
—> এহসানুর রহমান আক্তাবুর
আমায় ছেড়ে মাগো তুমি চলে গেছো দূরে,
কেমন করে থাকিগো মা একলা শুন্য ঘরে?
ভাত বেড়ে ডাকোনা আর খাবার সময় হলে,
তোমার কথা মনে হলেই বুকটা কেমন জ্বলে!
কাপড় বদলে জায়নামাজে নামাজ পড়তে তুমি,
পাশে রাখা গায়ের কাপড় বুকে রাখতাম চুমি।
কী মধুর গন্ধ পেতাম মমতা স্নেহে সিক্ত,
তুমি নেই গন্ধও নেই আমি আজ রিক্ত
তোমার মুখের মধুর বাণী অন্তপুরে বাজে,
হেথা তথা খুঁজে বেড়াই সকাল দুপুর সাঁঝে
কোথায় থাকো মাগো তুমি তোমার কন্ঠ কতোদূর?
মাগো একবার ডাকো মোরে চেনাসুরে সুমধুর!
তোমার স্মৃতির মধুর লগন বুকের ভেতর বাস,
অন্তর বৃক্ষে বসে বিষাদ করে উপহাস।
জীবন জুয়ার মাতাল নেশায় মত্ত থাকি কাজে,
তোমার শ্রীমুখ ভুলতে নারি দু’চোখে বিরাজে।
বিদায় ক্ষণে বিভুঁই ছিলাম শেষ দর্শণ পাইনি,
কাঁধে নিয়ে গোরে যাবো সে ভাগ্যটা হয়নি।
একমুঠো মাটি দেবো কবরে তোমার,
প্রবাস জীবন কেড়ে নিলো সেই অধিকার।
মাগো তোমার চরণ ধূলা আমার বুকে মাখি,
আনমনে চোখের জলে তোমার ছবি আঁকি
কল্পনাতে তোমায় দেখি অনুভবে পাই,
মনের ঘরে বসত করো দৃষ্টিসীমায় নাই
মা ছিলো যে মাথার মুকূট কন্ঠে অলঙ্কার,
সদাই দিতেন সদুপদেশ সেই তো অহঙ্কার।
মা জীবনের অমূল্য ধন শ্রেষ্ঠ উপহার,
মায়ের জন্য নাজাত মাঙ্গি ওগো পরোয়ার!
সব অপরাধ ক্ষম হে রব আমার মায়ের যতো,
অনুনয় আর বিনয় করি কাঁদছি অবিরত।
মা জননীর বিয়োগ ব্যথা ভুলা কি যায় কভূ?
মাকে আমার জান্নাত দিও মিনতি করি প্রভু !
বিচার দিনে মা জননীর সহায় থেকো তুমি,
এই অধমের দিলের খবর জানো অন্তর্যামী।
এই জীবনে আর পাবনা মায়ের আঁচলে ঠাঁই,
পরপারে মায়ের ছোঁয়া যেনো আমি পাই!
রচনাঃ ১৮ জানুয়ারী, ২০১৭