বড় বোন আদর করে নাম রেখেছিলেন হীরা। আজকের শীতের সকালে সেই হীরা চকমক করে জ্বলে উঠল। ঢাকায় মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক সলিডারিটি আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের প্রথম সোনা জিতলেন হীরা মনি। মেয়েদের রিকার্ভ বোয়ের এককে হীরা ৬-৪ গেমে হারিয়েছেন আজারবাইজানের ইয়ালাসুল রামোজামোভাকে।
দিনের পরের ইভেন্টে কম্পাউন্ড বোয়ে অবশ্য সোনালি হাসি হাসতে পারেননি বাংলাদেশের আরেক প্রতিযোগী বন্যা আক্তার। ইরাকের ফাতিমা আল মাসাদানির কাছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে হেরেছেন সূক্ষ্ম ব্যবধানে। বন্যার স্কোর ছিল ১৩৩। সোনাজয়ী ফাতিমার ১৩৫।
হীরার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক পদক জিতলেন আজই। আর প্রথম পদকটি সোনা, তাই হীরার চোখেমুখে ছিল উচ্ছ্বাসের ছোঁয়া, ‘আমার খুবই ভালো লাগছে। দেশের জন্য একটা কিছু করতে পেরেছি এতেই বেশি খুশি লাগছে।’ পরশু ফাইনালে ওঠার পর এক দিন বিরতি ছিল হীরার খেলায়। তবে এ সময় কোনো চাপে ছিলেন না ঠাকুরগাঁওয়ের মেয়ে, ‘আসলে আমি কোনো চাপ নিতে চাইনি। আমার বড় আপুরা, কোচ স্যার সবাই আমাকে বুঝিয়েছেন যেন হাল ছেড়ে না দিই। সবাই বলেছেন, এত দূর এসেছ। তোমাকে ভালো খেলতেই হবে। সোনা জিততেই হবে।’ সবার সেই স্বপ্ন আজ সত্যি করেছেন হীরা মনি।
ঢাকায় আগামী নভেম্বরে বসছে এশিয়ান আর্চারি চ্যাম্পিয়নশিপ। এই সোনা হীরার জন্য হয়ে এসেছে বাড়তি আত্মবিশ্বাস, ‘ঢাকায় যে এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ হবে সেটার একটা মহড়া বলা যায় এই প্রতিযোগিতা। আমি আত্মবিশ্বাসী আগামী নভেম্বরেও ভালো করার ব্যাপারে।’
হীরা ২০১০ সালে বিকেএসপিতে আর্চারিতে সুযোগ পান। এরপর ২০১৩ সালের বাংলাদেশ গেমসে মিশ্র দলগত রিকার্ভ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন হীরা। এ ছাড়া জাতীয় প্রতিযোগিতায় দলগত সোনা জিতেছিলেন। তবে এবারই প্রথম ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন। যাত্রার এ তো কেবলই শুরু।
হীরা ২০১০ সালে বিকেএসপিতে আর্চারিতে সুযোগ পান। এরপর ২০১৩ সালের বাংলাদেশ গেমসে মিশ্র দলগত রিকার্ভ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জেতেন হীরা। এ ছাড়া জাতীয় প্রতিযোগিতায় দলগত সোনা জিতেছিলেন। তবে এবারই প্রথম ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতলেন। যাত্রার এ তো কেবলই শুরু।