ট্রাম্প-পুতিন ফোনালাপের পর এ বিষয়ে পৃথক বিবৃতি দিয়েছে ক্রেমলিন ও হোয়াইট হাউস।
ইংরেজিতে দেওয়া বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, ফোনে দুই নেতার আলোচনায় সন্ত্রাসবাদ দমনের বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব পেয়েছে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একমত হয়েছে। এর মধ্যে সিরিয়ায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ও অন্যান্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে দমনের বিষয়টিও রয়েছে।
ক্রেমলিন জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে ইতিবাচক ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই নিয়ে তাঁদের মধ্যে কথা হয়েছে। তাঁরা মধ্যপ্রাচ্য ও আরব-ইসরায়েলের মধ্যকার সংঘাত নিয়ে আলোচনা করেছেন। আলোচনায় উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসঙ্গ এসেছে। ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন। আলোচনায় ইউক্রেন প্রসঙ্গও ছিল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নের লক্ষ্যে ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যকার ফোনালাপটি ছিল একটি ‘তাৎপর্যপূর্ণ সূচনা’।
এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস বলেছে, এই ফোনালাপের পর উভয় পক্ষ (যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া) সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা এবং স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারবে বলে দুই দেশের প্রেসিডেন্টই আশাবাদী।
হোয়াইট হাউস জানায়, পরবর্তী কোনো এক সময়ে মুখোমুখি বৈঠকে বসার ব্যাপারে ট্রাম্প ও পুতিন একমত হয়েছেন। তাঁরা নিয়মিত ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখার বিষয়ও সম্মত হয়েছেন।
ট্রাম্প গতকাল জাপান, জার্মানি, ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়ার নেতাদের সঙ্গেও ফোনে কথা বলেছেন।