আজ সকালে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি করেন রাষ্ট্রপতি। নিয়ম অনুযায়ী সার্চ কমিটির সদস্যদের দেওয়া নামগুলো থেকে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্য কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। আজ অথবা কালের মধ্যেই এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
২০১২ সালের ২৩ জানুয়ারি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান নির্বাচন কমিশন গঠন করতে চার সদস্যবিশিষ্ট সার্চ কমিটি করেছিলেন। ওই কমিটিরও প্রধান ছিলেন বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। বাকি তিন সদস্য হিসেবে ছিলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান, পদাধিকার বলে তৎকালীন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) আহমেদ আতাউল হাকিম এবং সরকারি কর্মকমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান এ টি আহমেদুল হক চৌধুরী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেওয়া জীবনবৃত্তান্ত থেকে জানা যায়, শিরীণ আখতারের বাবা মৃত আফসার কামাল চৌধুরী কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটির চিঠি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। সেখান থেকে একটি সারসংক্ষেপ আকারে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের পর সেটি আবার রাষ্ট্রপতির কছে যাবে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর ওই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
নতুন কমিশন গঠন নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ মোট ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সূত্র জানায়, রাষ্ট্রপতি রাজনৈতিক দলগুলোর দেওয়া প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই করে সার্চ কমিটি করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। সময়ের অভাবে এবার নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন বা অধ্যাদেশ জারি করছেন না রাষ্ট্রপতি।
একজন কমিশনার বাদে বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও অন্য নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি।