সোলায়মান সাব্বির; মাছ শিকার নিঃসন্দেহে একটি আনন্দদায়ক কাজ। মাছ শিকার করার উল্লেখযোগ্য কয়েকটি মাধ্যমের মধ্যে অন্যতম একটি হলো পলো এবং সেই পলো এখন বিলুপ্তির পথে।
পলো হলো বাঁশের চাটাইয়ের তৈরী এক ধরনের মাছ শিকারকারী ফাঁদ।পূর্বে মাছ শিকার করার জন্য অধিকাংশ গ্রামীন জনগণ এই পলো ব্যাবহার করত। অল্প জলে মাছ ধরার জন্য পলো খুব সহজ এবং কার্যকর মাধ্যম। খাল-বিল অথবা ছোট ডোবা কিংবা পুকুরে মাছ শিকার করার জন্য পলো খুবই সহজতর মাধ্যম ছিল এই পলো । অন্যান্য ফাঁদ কিংবা মাধ্যম দ্বারা একা মাছ শিকার করা কষ্টকর। কিন্তু পলো দ্বারা এককভাবে মাছ শিকার করা সম্ভব।
হারিয়ে যাচ্ছে এই পলোর ব্যাবহার। এতে অবক্ষয় ঘটছে লোক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির।বর্তমানে আর দৃষ্টি কাড়ে না সেই অপরুপ দৃশ্য।এখন আর মাছ শিকারীরা পলো হাতে ঝাঁপিয়ে পরে না কোন জলাশয়ে। ঝাঁপিয়ে পরে না একযুগে কাঁধে কাধ মিলিয়ে মাছ শিকারে। হারিয়ে যাচ্ছে গ্রামীন পরিবেশ এবং সেই সাথে সাথে হারিয়ে যাচ্ছে লোক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
জাতির কাছে লোক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবক্ষয় কখনই প্রত্যাশিত নয়। পলো দিয়ে দল বেঁধে এক সাথে মাছ শিকারের সেই সুন্দর অনুভূতির স্মৃৃতি মন্থর করতে এখনো গাঁয়ের চায়ে ষ্টল গুলোতে চায়ের কাপে মুখরোচক আলোচনার ঝড় উঠে। যান্ত্রিক যুগে মাছ শিকারের আধুনিক সেকেলের মাধ্যম গুলোকে পিছিয়ে দিলেও গ্রামীন ঐতিহ্যৃ ও লোক সংস্কৃতির ইতিহাস থেকে মুছে দিতে পারবে না।
জাতি আশা করে, লোক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি যেন বিলুপ্তি না ঘটে । ইতিহাস যেন মুছে না যায়। যান্ত্রিক যুগেও সেকেলের মাছ শিকারের মাধ্যমগুলো যেন আধুনিকায়ন করে ব্যবহার করা হয় এই দাবী তৃনমূল জনগোষ্ঠির।