সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলে থাকার সময় আমরা যখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় মিটিং করতে যেতাম, তখন নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরাও থাকত। কিন্তু দেখা যেত আমি পৌঁছে যাচ্ছি, পুলিশের গাড়ি সময়মতো পৌঁছাচ্ছে না। রাস্তায় নষ্ট হয়ে থাকছে। আমি নেমে (পুলিশ সদস্যদের) টাকা-পয়সা দিয়ে বলতাম, বাবা খেয়ে-দেয়ে বাড়ি চলে যাও। আমি লিখে দিচ্ছি তোমরা ডিউটি করেছ। আমার সঙ্গে তোমরা ছুটে পারবে না।’
নিজের স্পিডবোটও পুলিশের ব্যবহারের জন্য দিয়েছিলেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নদী-হাওর এলাকায় চলার কিছু নাই। ট্রলার নিয়ে যেতে হতো। এখন তো রাস্তাঘাট হয়ে গেছে। আমার এলাকার কথাই বলি। ঢাকা থেকে টুঙ্গিপাড়ায় যেতে ২২ থেকে ২৪ ঘণ্টা লাগত। তাহলে তখন ওই সব এলাকায় পুলিশের কী অবস্থা ছিল। আমার জন্য একটা স্পিডবোট কিনেছিলাম। পুলিশকে বলেছিলাম, আমার স্পিডবোট থাকল, যখন প্রয়োজন তারা ব্যবহার করতে পারবে। কারণ ডাকাতরা ডাকাতি শেষ করে যাচ্ছে আর পুলিশ যাচ্ছে ট্রলারে। ভটভট আওয়াজে তো ডাকাতেরা আগেই হোগলা বনে লুকিয়ে যায়। আর কেউ খুঁজে পাবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যাগুলো আমি স্বচক্ষে দেখেছি। আমি সরকারে আসার পরে প্রগতিতে (সরকারি গাড়ি সংযোজন সংস্থা) নির্দেশ ছিল পুলিশের যত গাড়ি লাগবে, তারা চাহিদা দিলে সব দিতে হবে। অনেক কাজ আমরা করে দিয়েছি। যার জন্য কারও দাবি করার প্রয়োজন হয়নি।’