কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে কনকনে ঠান্ডায় জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গত দুদিন ধরে শীতের তীব্রতা একটু কম থাকলেও সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে উত্তরীয় হীমেল হাওয়ায় বাড়ছে ঠান্ডার তীব্রতা।
কুড়িগ্রামে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এ অবস্থা বিরাজ করছে বিকেল ৪টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত।
উত্তরীয় হীমেল হাওয়া ও কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের জনজীবন। বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরে বেশী ঠান্ডা অনুভুত হওয়ায় সেখানকার মানুষজন পড়েছে চরম দুর্ভোগে। গরম কাপড়ের অভাবে দুর্ভোগে পড়েছে ছিন্নমুল ও দিনমজুর শ্রেনীর মানুষ।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার চর ভেলাকোপার বৃদ্ধা বছিরন বেওয়া জানান, বাবা এমন ঠান্ডা জীবনেও দেখি নাই। সন্ধার পর হাত-পা বের করা যায় না। আমরা গরীব মানুষ কাপড় নাই। খুব কষ্ট করে আছি বাবা। একটা কম্বল দিলে ভালো হইল হয় বাবা।
ঠান্ডার প্রভাবে বেড়েছে ডায়রিয়া, সর্দ্দি, কাশি ও নিউমোনিয়াসহ শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনীত রোগে আক্রন্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ২৯ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। এ ছাড়াও আউটডোরে প্রতিদিন গড়ে দেড়শ থেকে দুইশ রোগী চিকিৎসাসেবা নিচ্ছে।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ শাহিনুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সদর হাসপাতালে ২১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এদের মধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ২৯ জন শিশু চিকিৎসা নিচ্ছে। সদর হাসপাতালের ডাক্তার সংকট থাকায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন জানান, শীত কাতর মানুষের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৫৩ হাজার কম্বল বিতরন করা হয়েছে।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম জানায়, কুড়িগ্রামের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রতা সকাল ৬টায় ৯৮ শতাংশ রেকর্ড করা হয়েছে।