দিনের তৃতীয় বলেই নিজের মনোভাবটা বুঝিয়ে দিলেন। ট্রেন্ট বোল্টকে মারা সেই শট দিনের প্রথম শট হওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে যদি সেটা টেস্ট ম্যাচ হয়। স্লিপের ওপর দিয়ে মারা সেই চারের ছাপ থাকল পুরো ইনিংসে। ৫৬ রানে আউট হওয়া ইনিংসে খেলেছেন ৫০ বল। এর মাঝে ৪৪ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। তামিম ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গিয়েছে ট্রেন্ট বোল্টের ওপর দিয়ে। বোল্টের ১৭ বলে ২৯ রান নিয়েছেন তামিম। পাল্টা জবাবে তামিমকে আউটও করেছেন বোল্ট। তবে তামিমকে ফেরাতে ডিআরএসের সুবিধা নিতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। বোল্টের বলে প্যাড এগিয়ে দিয়ে রক্ষণাত্মক শট খেলতেই জোরালো আবেদন নিউজিল্যান্ডের। রিভিউতে দেখা গেছে, তামিমের ব্যাটে লাগার আগে প্যাড ছুঁয়ে গেছে বল। ব্যস, শেষ হয়ে গেল তামিমের ছোট কিন্তু বিনোদনপূর্ণ ইনিংসটি।
বাংলাদেশি ওপেনারকে আউট করতে এর আগেই একবার একটা রিভিউ নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। ইনিংসের ১১ তম ওভারে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বলের সেই রিভিউটিও ছিল এলবিডব্লুওর। সেবার মাঠের আম্পায়ার মারাইস ইরাসমাসের সিদ্ধান্তটাই সঠিক প্রমাণিত হয়েছিলেন।
বাংলাদেশের ইনিংসের প্রথম অংশটা পুরোটাই ছিল ‘তামিম-শো’। দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে তামিম যখন ফিরছেন, দলের রান তখন ৬০। এর ৫৬ রানই তামিমের! অন্য ওপেনার ইমরুল কায়েস আউট হয়েছেন ১ রানে। বৃষ্টির সম্ভাবনা, তীব্র বাতাস, ঘন সবুজ পিচ—টসে জিতে বোলিং নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে ইমরুল কায়েসের আউটের সঙ্গে উইকেট বা কন্ডিশনের কোনো সম্পর্ক ছিল না। লেগ স্টাম্পে পিচ করা একটা উঠতি বলে অযথা শট খেলতে গেলেন। বলটা গেল লং লেগে দাঁড়ানো ট্রেন্ট বোল্টের কাছে। ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই ইমরুলের অমন বোকামির সময় বাংলাদেশের রান মাত্র ১৬।
এর মাঝেই খেলা দিনের দ্বিতীয় সেশনে গড়িয়েছে। ১২ তম ওভারে বৃষ্টি নামায় খেলা থামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর বৃষ্টি ও মাঠ পরিচর্যার কারণে মধ্যাহ্ন বিরতির আগে মাঠে নামতে পারেনি দুই দল।
আউট তামিম
ঢাকা; মাত্র ৪৮ বলে ফিফটি। ওয়েলিংটন টেস্টে দলকে দুর্দান্ত এক শুরু এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু ইনিংসটাকে টানতে পারলেন না বাংলাদেশের ওপেনার। ফিফটির এক বল পরেই আউট হয়ে গেলেন। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই ওপেনারকে হারিয়ে বাংলাদেশ করেছে ৭৩ রান।