রংপুর: রংপুরে চাঞ্চল্যকর জাপানি নাগরিক হোসি কুনিও হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ পিছিয়ে ১৮ জানুযারি নির্ধারণ করেছে আদালত।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রংপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক নরেশ চন্দ্র সরকার আসামীর অনুপস্থিতির কারণে এ তারিখ নির্ধারণ করেন।
বিশেষ জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, হোসি কুনিও হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত ৫ আসামীর মধ্যে লিটনকে গাইবান্ধা আদালতে হাজিরা দিতে নিয়ে যাওয়ায় পূর্ব নির্ধারিত বুধবারের সাক্ষ্যগ্রহন অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহনের তারিখ আগামি ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছে। ওইদিন এ মামলার ১ ও ২ নং সাক্ষির সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে। এ মামলায় জেএমবির আট জঙ্গির বিরুদ্ধে গত ৭ আগস্ট দ-বিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
গত ১৩ অক্টোবর কাউনিয়া আমলি আদালত-২ এর বিচারক আরিফুল ইসলাম শুনানি শেষে মামলাটি রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করেন। পরে ২৬ অক্টোবর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হুমায়ুন কবীর বিচারের জন্য মামলাটি বিশেষ জজ আদালতে স্থানান্তর করেন। ১৫ নভেম্বর শুনানি শেষে সাত আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিশেষ জজ আদালত।
পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবু সোনা জানান, আসামিদের মধ্যে জেএমবির আঞ্চলিক কমান্ডার মাসুদ রানাসহ পাঁচ জঙ্গি কারাগারে আছে। বাকি তিনজনের মধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ আনছারী (২৮) পলাতক। এ ছাড়া আসামি পঞ্চগড়ের নজরুল ইসলাম ওরফে বাইক হাসান রাজশাহীতে এবং সম্প্রতি কুড়িগ্রামের সাদ্দাম হোসেন ঢাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সাথে ৩ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার সারাই ইউনিয়নের কাচু আলুটারী গ্রামে জাপানি নাগরিক হোসি কুনিওকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি রংপুর নগরীর মুন্সিপাড়ায় তার ব্যবসায়িক সহযোগী জাকারিয়া বালার বাসায় ভাড়া থাকতেন।
কাচু আলুটারী গ্রামে জমি ইজারা নিয়ে পরীক্ষামূলক একটি ঘাসের খামার করেন। ঘটনার দিন সকালে তিনি রংপুর শহর থেকে রিকশাযোগে খামারের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।