এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও পৌরসভার গোয়ালপাড়া, পূর্ব গোয়ালপাড়া, পশ্চিম গোয়ালপাড়া, তেলিপাড়া, সরকারপাড়ার একাংশ নিয়ে ২ নং ওয়ার্ড গঠিত। আয়তনে ও জনসংখ্যায় ঠাকুরগাঁও পৌরসভার বাকি ১১ ওয়ার্ডের তুলনায় বেশ বড় এই ওয়ার্ড। সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে এই ওয়ার্ডে।
ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ওয়ার্ডটিতে ৬-৭ টি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কিন্টারগার্টেন, কিন্টারগার্টেনভিত্তিক স্কুল) গড়ে উঠেছে। যাদের বয়স ১-২ বছর, তন্মধ্যে ২ টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবারই প্রথম পাঠদান শুরু করেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সামনে বড়বড় ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুন টানিয়ে এখনও শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মন জয় করার চেষ্টা চালাচ্ছে এইসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
বুঝিয়ে শুনিয়ে অভিভাবকদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিবৃন্দ। কারণ, মন জয় করতে পারলেই মিলবে শিক্ষার্থী। কেউবা স্বল্প বেতনে পড়ানোর প্রলোভন দেখাচ্ছেন, কেউবা ভালোমানের কথা বলছেন। কয়েকজন অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শিক্ষার্থী সংগ্রহের নানান কৌশল সম্পর্কে।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মালিকরা জানান, বর্তমানের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে অভিভাবকদের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মন জয় করাটাও অতীব জরুরি।
কেজি ক্লাস পড়ুয়া মনা’র আম্মু জানায়, তার সন্তানকে গত বছর প্লেতে ভর্তি করাতে তেমন বেগ পোহাতে হয়নি। গত বছর বাড়ির কাছে পীস স্কুল আর ডোমিনো স্কুল ছিল শুধুমাত্র। পীস স্কুলে প্লে ক্লাস ছিলনা বিধায় ডোমিনো স্কুলে ভর্তি করাই। কিন্তু এ বছর আরও দু’টি নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হওয়ায় এবং সবাই বাসায় এসে ভালোমানের কথা বলে
শিক্ষার্থী চাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চয়নে বেশ বেগ পোহাতে হয়েছে। শেষমেশ খরচের বিচার করেই সন্তানকে অন্য একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি করাই।
অপর এক অভিভাবক জানান, নতুন নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চাপে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি আমরা। সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে দিব কি দিবনা এরকম দ্বিধাদ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষাবর্ষের প্রথম ১০ টি দিন চলে গেলেও গুণেমানের বাছবিচার এখনও শেষ করতে পারিনি।
শিক্ষাকে প্রতিযোগিতার বাজারে নামিয়ে দিয়ে শিক্ষার মান কতটুকু সমুন্নত রাখতে পারে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান- এটিই আসলে দেখার বিষয়।