প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশের উচ্চশিক্ষিত মানুষের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি। এসএসসি পাস করাদের মধ্যে বেকারত্বের হার সাড়ে ৭ শতাংশ, এইচএসসি পাস করাদের মধ্যে এ হার ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ। স্নাতক ও স্নাতক পরবর্তী পর্যায়ে শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ।
এতে সিডারের নির্বাহী চেয়ারম্যান রুশিদান ইসলাম রহমান ২০১৩ সালের শ্রমশক্তি জরিপের তথ্য তুলে ধরে বলেন, ২০১০ সালের তুলনায় ২০১৩ সালে এইচএসসি পর্যন্ত শিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার কমেছে। অন্যদিকে এ সময়ে উচ্চশিক্ষিতদের বেকারত্বের হার বেড়েছে। ২০১০ সালে উচ্চশিক্ষিতদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এখন তা ১৬ শতাংশের বেশি।
সেমিনারে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন বলেন, দেশের শিক্ষা খাত শ্রমবাজারের চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। শিল্প যে ধরনের শিক্ষা ও দক্ষতার কর্মী খুঁজছে, তা মিলছে না। ফলে বিদেশ থেকে লোক এনে কাজ করাতে হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে শ্রমবাজার নিয়ে পর্যালোচনার তিনটি অংশের প্রথমটি তুলে ধরেন সিডারের সিনিয়র ভিজিটিং ফেলো রিজওয়ানুল ইসলাম। এ ছাড়া মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, সিপিডির নির্বাহী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিআইডিএসের সাবেক মহাপরিচালক কে এ তৌফিক, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো মুহাম্মদ ইউনুসসহ বিভিন্ন সংস্থার গবেষক ও কর্মকর্তারা বক্তব্য দেন।