শুরু থেকেই সুরুজ আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, গত ৩০ অক্টোবর উপজেলা সদরের সমাবেশে উসকানিমূলক বক্তব্য দেন। এ ঘটনার প্রমাণ পাওয়ায় জেলা আওয়ামী লীগ গত ৪ নভেম্বর সুরুজ আলীকে আওয়ামী লীগের কমিটি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে। তিনি চাপৈরতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার বলেন, ‘বহিষ্কৃত নেতা সুরুজ আলী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনকে গালাগাল করে সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমসহ আমাদের কাছে স্বীকার করেছেন।’
গত ৩০ অক্টোবর রাতে রসরাজ দাস নামের এক যুবকের ফেসবুক থেকে ধর্মীয় অবমাননাকর পোস্ট দেওয়া নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে হিন্দু বসতি ও মন্দিরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে আরও চার দফায় হিন্দুদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এসব ঘটনায় আটটি মামলায় ১০৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।