টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ

Slider খেলা

71263335c0006ca0730bb5e0e1853375-match-report

 

স্পোর্টস রিপোর্টার; নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ হল বাংলাদেশ। ১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লড়াই জমিয়ে তুললেও শেষ পর্যন্ত বরণ করতে হয় ২৭ রানের হার। দ্বিতীয় টি- টোয়েন্টি ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছিল ৪৭ রানের ব্যবধানে। শুরুটা দারুণ করলেও ২৪ রানে তামিম ইকবাল ও ৪২ রান করে সৌম্য সরকার আউট হন। তখনও দলের আশা বেঁচে ছিল। কিন্তু সাকিব আল হাসানের সঙ্গে প্রথমে সাব্বির, এরপর মাহমুদুল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেনরা সঙ্গ দিতে পারেনি। সাকিবও রানের  তোলার  চাপে শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪১ রান করে। তার ব্যাটিংয়ে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটাই কমেছে। শেষ পর্যন্ত নূরুল হাসান সোহান ৭ ও রুবেল হোসেন ১ রান করে অপরাজিত থাকলেও বাংলাদেশের নির্ধারিত ওভার শেষ হয় ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান তুলে।
১৯৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল ও ওপেনিংয়ে প্রমোশন পাওয়া সৌম্য সরকার। ৪.৪ ওভার  খেলে ৪৪ রানের জুটি গড়েন দু’জন। কিন্তু ভাল খেলতে থাকা তামিম ২৪ রান করে বোল্টের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন। তার বিদায়ের পর ধাক্কা সামলেছেন সৌম্য সরকার ও সাব্বির রহমান। ৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ যখন ৮০ ছুঁয়েছে, ফের তখনই দলের জন্য ধাক্কা। ২৮ বলে ৪২ রান করে সৌম্য আউট হয়ে  বিপদটা যেন আরও একটু বাড়িয়ে দিয়ে গেলেন। এবার সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে দলের সহ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান লড়াই শুরু করেন। কিন্তু দলীয় ৯৭ রানের সময় ১৮ রান করা সাব্বিরকে ফিরিয়ে দিলেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। তবে দলের হাল ধরেছিলেন  সাকিব আল হাসান ও মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু ১৮ রান করে মাহমুদুল্লাহ আউট হয়ে সাজঘরে ফিরলে বাংলাদেশের জয়ের চ্যালেঞ্জ আরও কঠিন হয়ে যায়। তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সাকিব কিন্তু পরের কোন ব্যাটসম্যানই তাকে সঙ্গ দিতে পারেনি। সাকিবও আউট হয়েছেন। হাতে চার উইকেট থাকলেও টি-টোয়েন্টির সিরিজের শেষ ম্যাচেও ইতিহাস পরিবর্তন হলনা।
এর আগে মাউন্ট মানগানুইর বে ওভাল স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। ৩৬ রানে দুই উইকেট হারায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এরপর নিজের শহরে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়াসন। তাকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দিয়ে ফিরে যান প্রথম সিরিজের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকানো কলিন মানরো। এবার বিপদে পরা দলের পাশে দাঁড়ান কোরি অ্যান্ডারসন। চাপে থাকা দলকে ধীরে ধীরে চাপ মুক্ত করতে থাকেন দু’জন। ১৪.২ ওভারের সময় দলের স্কোর বোর্ডে তখন ১০৮ রান। তখন উইলিয়ামসন ৫৩ ও অ্যান্ডারসন অপরাজিত ২৩ রানে। ঠিক সেই মুহুর্তে মাশরাফি বিন মুর্তজার বলে ক্যাচ তুলেছিলেন কিউই অধিনায়ক। কিন্তু সাকিব সহজ সেই ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি ডিপ মিড উইকেটে। অধিনায়কের জীবন পাওয়ার সুযোগে বাংলাদেশের বোলারদের উড়িয়ে দিতে শুরু করেন অ্যান্ডারসন। অধিনায়ককে সঙ্গে নিয়ে ঝড় তোলেন তিনি।
ফের ১৭.১ ওভারের মাশরাফি বলে ক্যাচ দিয়ে ৫৮ রান করা উইলিয়ামসন তামিমের হাতে জীবন পেলেও ৬০ রান করে আউট হন রুবেল হোসেনের বলে। কিন্তু প্রথম দুই ম্যাচে ১৩ ও ৪ রান করা অ্যান্ডারসন তাকে দলে সুযোগ দেয়ার প্রতিদান দিতে শুরু করেন। ছক্কার রেকর্ড গড়ে সেঞ্চুরি থেকে যখন মাত্র ৬ রান দূরে  শেষ হয় তার ৯৪ রানের ইনিংস। তখন কারণ শেষ হয়েগিয়েছিল নির্ধারিত ২০ ওভার। সেঞ্চুরি না পাওয়ার হতাশা থাকলেও হাঁকিয়েছেন ১০টি ছক্কা ও ২ টি চারের মার ৪১ বলে। আগের ম্যাচে তারা ৭ উইকেট হারিয়ে করেছিল ১৯১ রান মানরোর সেঞ্চুরিতে। এই ম্যাচে অ্যান্ডারসন সেঞ্চুরি না পেলেও মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে গড়েছেন ১৯৪ রানের রানের পাহাড়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *