গাইবান্ধা: সুন্দরগঞ্জের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা ঘটনার ৮ দিন অতিক্রান্ত হলেও হত্যার কারণ উদঘাটিত হয়নি বা মূল আসামি এখনও গ্রেফতার হয়নি। এ নিয়ে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনসহ প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষদের চাপা ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ
করছে। তদুপরি দিন যতই অতিবাহিত হচ্ছে খুনিরা ধরা না পড়ায় অনেকের মধ্যেই নিরাপত্তা হীনতা ও আতংক বিরাজ করছে বলে সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়িরা বলছেন একটা সার্বক্ষনিক আতংক বিরাজ করায় ব্যবসা-বাণিজ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের
কথা লিটনের মত একজন প্রভাবশালী এমপিকে নিজ বাড়িতে খুন করার পরেও যদি খুনিরা ধরা না পড়ে তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি। তবে
পুলিশ সুত্র থেকে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকান্ড সম্পর্কে প্রকৃত কোন তথ্যই পাওয়া যাচ্ছে না।
তারা তদন্তের অজুহাতে এখনও বিষয়টি চাপা রাখছেন। এমনকি গ্রেফতারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা সত্ত্বেও তাদের সংখ্যা এবং
গ্রেফতারকৃতদের সম্পর্কেও কোন তথ্য
প্রদান বা তাদের নাম জানাতেও তারা গড়িমসি করছেন। তাদের এহেন রহস্যজনক আচরণে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
এদিকে যদিও শনিবার পর্যন্ত এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩৯ জন জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে আটক করে পুলিশ। তবে এর
মধ্যে ইতোপূর্বে ২১ জন জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার দেখানো হয়।
শনিবার আরও ১২ জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হলেও তারমধ্যে ৬ জনকে লিটন হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এরা হল জামায়াতের অর্থ যোগান দাতা সোনারায় ইউনিয়নের রামভদ্র গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে হাজী ফরিদ উদ্দিন, নিজপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে সামিউল হক, খামার পাঁচগাছি গ্রামের একরামুল হকের ছেলে হাদিসুর রহমান, বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর হাতিবান্ধা গ্রামের রোস্তম আলীর ছেলে জিয়াউল হক, পূর্ব শিবরাম গ্রামের মো.
সাবু খন্দকারের ছেলে নবীনুর রহমান ও রামভদ্র গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে হযরত আলী। উল্লেখিত ওই ৬ জনের বিরুদ্ধে ৩০২/৩৪ ধারায় মামলা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ গ্রেফতারকৃত ওই ৬ জনের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন আদালতে
জমা দিয়েছে। তবে শুনানী না হওয়ায় তাদের জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে রোববার এই রিমান্ডের শুনানী অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া বাকি ৬ জনকে নাশকতা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। তারা হলো- রামভদ্র কদমতলা গ্রামের মৃত মঙ্গল দেওয়ানের ছেলে ইউসুফ আলী, শান্তিরাম ইউনিয়নের খামার পাঁচগাছি মৃত রিয়াজুল ইসলামের ছেলে মাজেদুল হক প্রামানিক, শুকুর মাহমুদের ছেলে খায়রুজ্জামান, রামভদ্র কদমতলা গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে হুমায়ুন কবির লিটন, বেলকা ইউনিয়নের তালুক বেলকা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান আতিক ও হরিপুর ইউনিয়নের ভেলারায় গ্রামের মৃত মজিবর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান।