গাজীপুর অফিস; গাজীপুরের তুরাগ নদীর বিভিন্ন স্পট পরিদর্শন ও জনসচেতনতা চালিয়ছে নদী পরিব্রাজক দল। তারা বলেন চলছে শীত মৌসুম। তুরাগের পানি প্রতিনিয়ত কমছে। তুরাগ নদীর অবৈধ দখলদাররা হয়ে উঠছে বেপরোয়া।
প্রকাশ্যে চলছে দূষন ও দখলযজ্ঞ, বেপরোয়া হয়ে উঠেছে দখলদার চক্র । ধারাবাহিক দখলে কান্না থামছে না তুরাগ নদীর। তুরাগ নদীর অস্থিত্ব এখন হুমকির মুখে। দেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে এই নদী। কহর দরিয়া খ্যাত তুরাগে এই শুষ্ক মৌসুমে চলছে বেপরোয়া দখল উৎসব। নদীর বুকে তৈরি করা হয়েছে পাকা দেয়াল ও নানা ধরনের অস্থায়ী স্থাপনা। গতকাল বাংলাদেশ নদী পরিব্রাজক দল তুরাগ শাখা সরেজমিনে তুরাগ নদীর বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। গাজীপুরের কড্ডা, কাশিমপুর, জরুন, কারখানা বাজার, বাঘিয়া, শাকাস্বর ও মির্জাপুর বাজারের বিভিন্ন অংশ পরিদর্শন করেন। নদী পরিব্রাজক দল তুরাগ শাখার সভাপতি আব্দুল মালেক ও সাধারন সম্পাদক প্রকৌশলী মাসুদ রানার সমন্বয়ে উক্ত পরিদর্শনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন, র্যাব-১ (গাজীপুর ) এর কোম্পানী কমান্ডার মো. মহিউল ইসলাম, নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য রাহিম সরকার, তুরাগ ওয়াটার ওয়াচের প্রেসিডেন্ট মনোয়ার হোসেন রনিও সাধারন সম্পাদক সাইফুর উসলাম মোল্লা, নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. আলী হোসেন, মাঈনুল ইসলাম টিপু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা খান, গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি মোস্তফা আযাদ ও সাধারন সম্পাদক মতিঊল আলম। এছাড়াও উক্ত পরিদর্শনে নদী পরিব্রাজক দল তুরাগ শাখার অর্ধ শতাধিক নদী উন্নয়নকর্মী ও নদীবন্ধু উপস্থিত ছিলেন।dulal-brothers জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘তুরাগ নদীর দূষণ ও দখলের এ চিত্র অত্যান্ত বেদনাদায়ক। আমরা নদী কমিশনের পক্ষ থেকে এর প্রতিকারের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নদীর দখলদার ও দূষনকারী কেউ রেহাই পাবে না।’ মহিউল ইসলাম বলেন, ‘ সভ্যতা, সংস্কৃতি ও অস্থিত্বের ধারক এ নদীকে বাঁচাতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে দেশের মানচিত্র থেকে এক সময় তুরাগ নামক এ নদীটি হারিয়ে যাবে।’ নদী পরিব্রাজক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মো. মনির হোসেন, ‘ তুরাগ নদীর সমস্যা চিহ্নিত। দখলদার ও দূষনকারী প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তিও চিহ্নিত। এখন শুধু তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার পালা। আর এ ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও প্রশাসনিক আন্তরিকতার।’