এ দিবস উপলক্ষে দেওয়া বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আনু মুহাম্মদ বলেছেন, সুই থেকে রকেট সবকিছুই বানানো সম্ভব। কিন্তু সুন্দরবনের মতো এমন একটি জীববৈচিত্র্যপূর্ণ বন তৈরি সম্ভব নয়। তাই সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত হওয়া সমগ্র মানবজাতির কর্তব্য।
জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ ভারতের কলকাতা ও দিল্লি, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, ফ্রান্সের প্যারিস, জার্মানির বার্গেন ও বার্লিন, নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম, কানাডার টরন্টো, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক ও আটলান্টাসহ বিভিন্ন শহরে এই কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আগামীকাল সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিশ্ব প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে। সর্বপ্রাণ সাংস্কৃতিক শক্তি রাজধানীর শাহবাগে বিকেল সাড়ে তিনটায় যে কর্মসূচিটি পালন করবে তাতে জাতীয় কমিটি নেতারা অংশ নেবেন। এ ছাড়া রাজধানীর ইডেন কলেজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ছাত্র সংগঠনগুলো তাদের কর্মসূচি পালন করবে। পল্টনে ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি পালন করবে।
আন্তর্জাতিক পরিবেশবাদী সংস্থা ফ্রেন্ডস অব ও আর্থ থেকে পাঠানো বিশ্ব প্রতিবাদ দিবসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রামপাল প্রকল্পের বিরোধিতা করা শুধুমাত্র বাংলাদেশের মানুষের একার দায়িত্ব না। কেননা সুন্দরবন ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্য। একে রক্ষা করা বিশ্ববাসীর দায়িত্ব।
ওই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ভারতের সাউথ এশিয়া নেটওয়ার্ক অন ড্যাম, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স অন পিপলস মুভমেন্ট, অল ইন্ডিয়া ইউনিয়ন ফর ফরেস্ট ওয়ার্কিং পিপলসহ ৩৩টি সংগঠন সংহতি জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফ্রেন্ডস অব ও আর্থ যুক্তরাষ্ট্র শাখা, ইকোলজি মুভমেন্ট, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি এবং উদীচীর যুক্তরাষ্ট্র শাখা এর সঙ্গে সংহতি জানিয়েছে।