২০১৩ সালের ১৫ জুন সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে নির্বাচিত হওয়ার প্রায় দেড় বছরের মাথায় আরিফুল হক ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারাবন্দী হন। দুই বছর পাঁচ দিন পর তিনি জামিনে মুক্তি পেলেন। কারাবন্দী হওয়ার পর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি তাঁকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
গাড়িতে যাওয়ার সময় মোবাইলে আরিফুল হক বলেন, ‘আমি সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। আমাকে দুই বছরের বেশি সময় জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। জনগণের দোয়ায় আমি মুক্ত হয়েছি।’
কেন্দ্রীয় কারা ফটকের সামনে একটি জিপ গাড়ি দিয়ে আরিফুল হক হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর দরগাহ যান। সেখানে মাগরিবের নামাজ পড়ে জেয়ারত শেষে কুমারপাড়ায় বাসায় ফেরেন।
আরিফুল হক চৌধুরী ২০১৩ সালের ১৫ জুন সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জয়ী হন। হবিগঞ্জে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ওপর জঙ্গিদের গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি হিসেবে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর কারাবন্দী হন। এরপর থেকে তিনি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন। ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাঁকে মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে।
আদালত সূত্র জানায়, উচ্চ আদালত থেকে কিবরিয়া হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা দুটোর জামিন পেলে সম্পূরক আরেকটি অভিযোগপত্রে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় গ্রেনেড হামলার মামলায় অভিযুক্ত হন মেয়র আরিফুল হক। এ মামলায় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর আরিফুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর এ মামলা থেকেও তিনি জামিন পেলে পরে তা স্থগিত করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে জামিন স্থগিত বিষয়ে শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার তা বহাল রাখা হয়।