ঢাকা; জনগণের ভোটে আওয়ামী লীগকে আর পরাজিত করা যাবে না। তাই ষড়যন্ত্রকারীরা চক্রান্তের চোরাগলির পথ বেছে নিয়েছে। শেখ হাসিনার কিছু হলে সারা বাংলায় আগুন জ্বলবে। সেই আগুনে কেউ রেহাই পাবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল রাজধানীতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। আগামী ১০ই জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের জনসভা সফল করতে কাউন্সিলরদের সঙ্গে এ মতবিনিময় সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, একেএম এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ। সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশে বলেন, ভুল করে পার পাওয়া যাবে না। ১৯৭৫ আর ২০১৭ সাল এক নয়। পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিতে চাই, ৭৫’র বঙ্গবন্ধুকে যে বুলেট খুন করেছে, রক্তাক্ত করেছে; ২০১৭ সালে সেই বঙ্গবন্ধু হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী। তার রক্তের উত্তরসূরি শেখ হাসিনাও অনেক বেশি শক্তিশালী। তিনি আরো বলেন, গাইবান্ধার লিটনকে (মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন এমপি) কারা হত্যা করেছে। বাংলাদেশের জনগণ এর মধ্যেই বুঝতে পেরেছে। সুন্দরগঞ্জের মানুষ জানে কারা লিটনের হত্যাকারী? গাইবান্ধায় লিটনের জানাজায় শোকার্ত মানুষের বাঁধভাঙা ঢেউ নেমেছিল। এটাই তার জনপ্রিয়তার লক্ষণ। লিটনকে মেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা গ্রীন এবং ক্লিন সিটি ঢাকা করবেন। এটাকে স্বাগত জানাই। তরুণরা আমাদের ভবিষ্যৎ। তাদের সেই একটা অংশকে আজ মাদক গ্রাস করেছে। আপনাদের অনুরোধ করবো, এই সর্বনাশা মাদকের বিরুদ্ধে অবিলম্বে আপনারা ক্যাম্পেইন চালু করেন। আর আমরা কিন্তু সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ছি। আমাদের খাবারে ভেজালের কারণে। এর বিরুদ্ধেও দয়া করে আপনারা ক্যাম্পেইন পরিচালিত করুন। এসময় উপস্থিত কাউন্সিলর ও নেতাকর্মীরা সাঈদ খোকনের নামে স্লোগান দিতে থাকলে ওবায়দুল কাদের বলেন, সাঈদ খোকনের ঘাঁটি আমি তখনই বলবো যখন সাঈদ খোকনের এলাকা মাদক ও ভেজালমুক্ত হবে। এছাড়াও আগামী ১০ই জানুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভাকে সফল করার জন্য মেয়র এবং কাউন্সিলরদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নেত্রী সেদিন দিকনির্দেশনামূলক কিছু বক্তব্য রাখবেন। তিনি আগামী দুই বছরে নির্বাচনকে সামনে রেখে উন্নয়নের পরিকল্পনা এবং সরকারের কর্মসূচি জানাবেন।