ঢাকা; থার্টিফাস্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশজুড়ে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। প্রতিটি মোড়ে অবস্থান নিবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। নিরাপত্তা দিতে মাঠে নামবে র্যাব-এর ডগ স্কোয়াড। ছদ্মবেশে থাকবেন গোয়েন্দারা। অভিজাত হোটেল, ক্লাবগুলো থাকবে বিশেষ নজরদারিেেত। এছাড়া রাজধানীর প্রবেশ পথ, কূটনৈতিক এলাকায় টহল ও চেক পোস্ট থাকবে পুলিশ ও র্যাব-এর। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, নিরাপদে থার্টি ফার্স্ট নাইট পালন করতে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুফতি মাহমুদ খান জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে সেজন্য র্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজধানী জুড়ে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তারকা হোটেলগুলোয় সার্বক্ষণিক র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েই র্যাব মাঠ নামছে বলে জানান তিনি। মোড়ে, মোড়ে চেক পোস্ট বসাবে র্যাব। সেসঙ্গে র্যাবের ডগ স্কোয়াডও মাঠে থাকবে। র্যাবের পেট্রল টিম, মোবাইল টিম থাকবে সক্রিয়। সাদা পোশাকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকবেন র্যাব সদস্যরা। নারীদের তল্লাশি ও নারী অপরাধীদের জন্য র্যাবের নারী সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। ইতিমধ্যে শহরের প্রবেশপথগুলোতে বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। একইভাবে কূটনৈতিক এলাকায় র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে রাজধানী। প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেবেন। পেট্রোল টিম, মোবাইল টিম ও তল্লাশি জোরদার করা হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, গুলশান-১ ও ২ এবং বারিধারা, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা তদারকি করবেন। বেপরোয়া গাড়ি চালানো ঠেকাতে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন মেট্রোপলিটন এলাকা, পর্যটন জেলা কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেটের বিভিন্ন স্পটে থার্টিফার্স্ট পালন করতে যাওয়া হাজার হাজার পর্যটক যাতে নিরাপদে থার্টি ফার্স্টের আনন্দ উপভোগ করতে পারে তার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সার্বিক নিরাপত্তায় কন্ট্রোলরুম এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। নিরাপত্তায় পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের টিমও থাকবে। নিরাপত্তা দিতে প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ইলেক্ট্রনিক্স তল্লাশি (আর্চওয়ে) ব্যবস্থা, বোম ডিজপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াডসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ইংরেজি নববর্ষ ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ওই রাতে আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তা, রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভারসহ প্রকাশ্যে কোন ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। অতীতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এ আনন্দ-উৎসব উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। কতিপয় ব্যক্তি পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, দুর্ঘটনা ঘটায়। এ সব নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে। এ ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে। নতুবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। গত ১৯শে ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভায় থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়। সিদ্ধান্তানুযায়ী, ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীর সব বার বন্ধ থাকবে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল মুফতি মাহমুদ খান জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইটে যাতে কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা না ঘটে সেজন্য র্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। রাজধানী জুড়ে থাকবে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। তারকা হোটেলগুলোয় সার্বক্ষণিক র্যাব সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। রাজধানীকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েই র্যাব মাঠ নামছে বলে জানান তিনি। মোড়ে, মোড়ে চেক পোস্ট বসাবে র্যাব। সেসঙ্গে র্যাবের ডগ স্কোয়াডও মাঠে থাকবে। র্যাবের পেট্রল টিম, মোবাইল টিম থাকবে সক্রিয়। সাদা পোশাকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে থাকবেন র্যাব সদস্যরা। নারীদের তল্লাশি ও নারী অপরাধীদের জন্য র্যাবের নারী সদস্যরাও মাঠে থাকবেন। ইতিমধ্যে শহরের প্রবেশপথগুলোতে বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে। একইভাবে কূটনৈতিক এলাকায় র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে রাজধানী। প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্য ঢাকা মেট্রোপলিটনের বিভিন্ন এলাকায় দায়িত্ব পালন করবেন। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নেবেন। পেট্রোল টিম, মোবাইল টিম ও তল্লাশি জোরদার করা হবে। থার্টি ফার্স্ট নাইটে নিরাপত্তায় পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকা, গুলশান-১ ও ২ এবং বারিধারা, বিমানবন্দরসহ বিভিন্ন স্পটগুলোতে নিরাপত্তা তদারকি করবেন। বেপরোয়া গাড়ি চালানো ঠেকাতে ট্রাফিক ব্যবস্থা জোরদার থাকবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে বিভিন্ন মেট্রোপলিটন এলাকা, পর্যটন জেলা কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেটের বিভিন্ন স্পটে থার্টিফার্স্ট পালন করতে যাওয়া হাজার হাজার পর্যটক যাতে নিরাপদে থার্টি ফার্স্টের আনন্দ উপভোগ করতে পারে তার জন্য পোশাকে ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হবে। এছাড়াও সার্বিক নিরাপত্তায় কন্ট্রোলরুম এবং আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে বিভিন্ন বাহিনীর মধ্যে সমন্বয় করে কাজ করা হবে। নিরাপত্তায় পুলিশ-র্যাবের পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিসের টিমও থাকবে। নিরাপত্তা দিতে প্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। সিসিটিভি ক্যামেরা, ইলেক্ট্রনিক্স তল্লাশি (আর্চওয়ে) ব্যবস্থা, বোম ডিজপোজাল টিম, ডগ স্কোয়াডসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ইংরেজি নববর্ষ ও থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ওই রাতে আইনশৃঙ্খলার স্বার্থে রাস্তা, রাস্তার মোড়, ফ্লাইওভারসহ প্রকাশ্যে কোন ধরনের জমায়েত, সমাবেশ ও উৎসব করা যাবে না। অতীতের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, এ আনন্দ-উৎসব উদযাপনের নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল ব্যক্তি নিজস্ব সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকে। কতিপয় ব্যক্তি পটকাবাজি, আতশবাজি, অশোভন আচরণ, বেপরোয়া গাড়ি ও মোটরসাইকেল চালানোর মাধ্যমে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা, দুর্ঘটনা ঘটায়। এ সব নৈতিক মূল্যবোধ পরিপন্থি কর্মকাণ্ড একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে ব্যাহত করে, অন্যদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা সৃষ্টি করে। এ ধরনের অশোভন আচরণ এবং বেআইনি কার্যকলাপ হতে বিরত থাকতে হবে। নতুবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ঢাকা মহানগরীর সব বার বন্ধ থাকবে। গত ১৯শে ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক সভায় থার্টিফার্স্ট নাইট নিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ সদর দপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়। সিদ্ধান্তানুযায়ী, ৩১শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরের দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নগরীর সব বার বন্ধ থাকবে।