হাফিজুল ইসলাম লস্কর,সিলেট :: আজ শনিবার বেলা ১১-১২টায় মাধ্যে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে তা শেষ হবে বিশ্ব ইজতেমার সিলেট পর্ব। এর আগে শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেটের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ জুম্মার নামাজের জামাত।
বিশ্ব ইজতেমার সিলেট পর্ব ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে ৩০ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মারদিন অনুষ্টিত হয়েছে সিলেটের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জুম্মার নামাজের জামাত।
এসময় মুসল্লিদের ‘আল্লাহু আকবার’ ‘আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে মুখরিত ছিল গোটা এলাকা। তারা চোখের জলে বুক ভাসিয়ে নিজের জন্য, দেশ ও জাতির জন্য মহান আল্লাহ পাকের দরবারে মোনাজাত করেন।
শুক্রবার সকাল থেকেই হাজার হাজার মুসল্লি ইজতেমা ময়দানে এসে জড়ো হতে থাকেন। একসময় ইজতেমা ময়দান জনসমুদ্রে রূপ নেয় ।
দেশ-বিদেশের প্রায় ১৫ লাখের বেশি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি পবিত্র জুমার নামাজে অংশ গ্রহন করেন। সিলেটের ইজতেমার নকশা অনুযায়ী প্রতিটি খিত্তায় ১লাখ মানুষের ধারন ক্ষমতা সে হিসাবে ১১টি খিত্তায় ১১ লাখ মুসল্লি অংশ নিচ্ছেন ইজতেমায়। ইজতেমা মাঠে নেই তিল ধারনের জায়গা। আর জুম্মার দিন ইজতেমা ময়দানের ১১টি খিত্তা ছাড়াও ইজতেমার আশপাশ মাঠ ও পার্শ্ববর্তি এলাকা এবং যানবাহন চলাচলের রাস্তায় নামাজ আদায় করেন অগণিত মুসল্লি।
শুক্রবার বাদ ফজর তাবলিগের মুরব্বিরা বয়ান করেছেন। তাবলীগ জামাতের আয়োজনে সিলেটের ইজতেমার দ্বিতীয় দিন জুমার নামাজে বিশ্ব শান্তি ও মুসলিম উম্মাহর কল্যাণ কামনা করে মুনাজাত করা হয়।
মুসল্লিদের জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ৩ স্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও পানির ব্যবস্থার পাশাপাশি একাধিক চিকিৎসক দল মুসল্লিদের সেবা দিচ্ছে।
ইজতেমা মাঠ ও এর আশপাশের এলাকায় রাস্তার দুই ধারে অনেক দোকান বসেছে। এসব দোকানে শীতের কাপড়, ইসলামি বইপত্র, টুপি, তসবিহ এবং শুকনা ও রান্না করা খাবার বিক্রি হচ্ছে। এ পর্যন্ত ইজতেমায় অংশগ্রহনকারী ৭জন মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইজতেমার প্রথমদিন আম বয়ানের মধ্যদিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় সিলেট জেলা ইজতেমা। শুরুতে সকালে বয়ান করেন সুনামগঞ্জের মাওলানা আনোয়ার হোসেন। বাদ জোহর বয়ান করেন হবিগঞ্জের মাওলানা আব্দুল মতিন। বাদ আছর ঢাকার মোঃ নাছিম আহমদ এবং বাদ মাগরিব ঢাকার মাওলানা রবিউল ইসলাম বয়ান করেন।