ঝিনাইদহ সংবাদ

Slider খুলনা

pic-6

 

 

 

 

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কনক কান্তি দাস (চশমা প্রতীকে) ৫’শ ৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পার্টি সমর্থিত এম হারুন অর রশিদ (আনারস প্রতীকে) পেয়েছেন ৩’শ ৯২ ভোট এবং জাসদ সমর্থিত প্রার্থী মুন্সী এমদাদুল হক (মোটর সাইকেল প্রতীকে) পেয়েছেন ১ ভোট। বিকালে ভোট গননা শেষে প্রার্থী এবং প্রিজাইডিং অফিসার সুত্রে এ ফলাফল পাওয়া গেছে।

বুধবার সকাল ৯ টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীন ভাবে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২ টা পর্যন্ত। নির্বাচন উপলক্ষে ৫’শ ৫২ জন পুলিশ ও আসনার সদস্য, ২ প্লাটুন বিজিবি, ৪ টি মোবাইল টিম ও র‌্যাব সদস্যরা টহল দিয়েছে। নির্বাচনে ৬৭টি ইউনিয়নের ৮৭১ জন চেয়ারম্যান-মেম্বর, ৬টি পৌরসভার ৭৮ জন মেয়র ও কাউন্সিলর এবং ৬টি উপজেলার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যনসহ মোট ৯৬৪ জন ভোটার ১৫ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

জেলার ১৫টি ভোট কেন্দ্রে ছিল কড়া পুলিশ পাহারা। নির্বাচনে দায়িত্ব পালনরত মেজিস্ট্রেটরাও কঠোর মনোভাব পোষন করেন। ফলে ভেট কেন্দ্রে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। জেলা পুলিশের মুখপত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী জানান শান্তিপুর্ন ভোট হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে ১জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক হাকিমগণ দায়িত্ব পালন করেন । সেই সাথে মোতায়েন করা হয় এক প্লাটুন বিজিবি। ১৫ টি মোবাইল টিমও ১৫টি স্ট্রাইকিং ফোর্স অতিরিক্ত হিসেবে ভোট কেন্দ্র এলাকায় টহল প্রদান করে।

জেলা নিবার্চন অফিস সুত্রে জানা গেছে জেলা ব্যাপী ভোট গ্রহনের জন্য ১৫ টি ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। এর মধ্যে মহিলা ভোট কেন্দ্র ছিল ৫টি । চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সংরক্ষিত মহিলা ১৮ এবং সাধারন সদস্য পদে ৬১ জন প্রতিদ্বন্দিতা করেন। প্রথম বারের এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ৩ জন।

“র‌্যাফেল ড্র”র যাতাকলে দিশেহারা ঝিনাইদহবাসী ! দেখার কি কেউ নেই ?
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মেলার আয়োজন করা হয় দেশের সকল জেলার মতই প্রতিটি উপলক্ষকে কেন্দ্র করে। শীতের শুরুর সাথে সাথে বাড়তে থাকে মেলার আসর। কিন্তু পরিচ্ছন্ন বিনোদনের সেই মেলাকে কলুশিত করতে শুরু করে যাত্রার নামে অশ্লিলতা ও বিভিন্ন ধরনের জুয়ার আসর।

এসবের সাথে আরেকটি নতুন মাত্রা যোগ হয় “র‌্যাফেল ড্র” এর নামের লটারি প্রতিযোগিতার কল্যানে। নিম্নবিত্তদের কাছে ১০/২০ টাকা মুল্যের লটারিতে লক্ষ টাকার পুরস্কার এর জনপ্রিয়তাকে নিয়ে যায় ব্যাপক পরিসরে। কিন্তু এখানেও দেখা দিতে থাকে বিভিন্ন সমস্য।

ঝিনাইদহের প্রেক্ষাপটে গত বছর থেকে সর্বোচ্চো মাত্রায় জনপ্রিয়তা অর্জন করতে থাকে “র‌্যাফেল ড্র” এর নামে এই লটারি প্রতিযোগিতা। আর তখন থেকেই ঘটতে থাকে নানান অপ্রিতিকর ঘটনা। প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র পরিসরে লটারি বিক্রির টাকা ছিনতাই ও টিকিট নষ্ট করে ফেলা থেকে শুরু হয়। কখনোবা পুরস্কার না দিয়ে পালিয়ে যেতে থাকে লটারির আয়োজকরা।

গত বছরের শেষ থেকে চলতি বছরের শুরুর ভিতর শহরের শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে আয়োজন করা হয় কসমেটিক্স মেলার। সেখানেও ব্যাবস্থা করা হয় “র‌্যাফেল ড্র” তথা লটারির। জেলার ৬টি উপজেলার তৃনমূল পর্যায়ে রিক্সা, ইজিবাইক ও ট্যাম্পুর মাধ্যমে তাদের টিকিট বিক্রি শুরু হয়, সেই সাথে শুরু হয় বিভিন্ন বিতর্কতা ও বিশৃংখলার।

সর্বশেষ পর্যায়ে আইন-শৃংখলা রক্ষার সার্থে কঠর প্রশাসনিক পদক্ষেপে “র‌্যাফেল ড্র” বন্ধ করা হলে সেদিনের বিক্রিত টিকিটের ড্র সহ ২ দিনের পুরস্কার না দিয়ে হুট করে জেলার অজস্র সাধারন মানুষের ২০ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় এর আয়োজকরা।

খবর জেলায় ছড়িয়ে পড়লে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে সাধারন মানুষ এবং বিভিন্ন স্থানে টিকিট বিক্রেতাদের উপর চড়াও হয়ে উত্তম-মাধ্যম দেয় তাদের। কোথাও আবার তাদের কাছ থেকে বিক্রিত টিকিটের টাকা ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাও ঘটে। পরবর্তীতে আবারো প্রশাসনের চেষ্টায় পরিস্থিতি ঠান্ডা হলেও, সেবার “র‌্যাফেল ড্র” এর নামে আর কোন লটারির আয়োজন হয়নি।

কিন্তু চলতি শীত মৌসুমের শুরু থেকে আয়োজিত বিভিন্ন মেলায় আবারো আনা হয় “র‌্যাফেল ড্র” তথা সেই সকল লটারি। আর এবারের পর্বের শুরুতেই ঘটতে শুরু করে অপ্রীতিকর ঘটনা। অভিযোগে বলা হয়, গত ১০ ডিসেম্বর শৈলকুপার ভাটই এলাকায় মেলা আয়োজকদের যোগসাজসে “উল্লাস রাফেল ড্র” নামের লটারী প্রতারক চক্র জনগনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে পালিয়ে যায়।

গত ১০ ডিসেম্বর শনিবার সন্ধায় লটারী ড্র এর সময় কাউকে পাওয়া যায়নি। “উল্লাস রাফেল ড্র” সেদিন লটারি ড্র না করে তারা সবাই মেলা থেকে পালিয়ে যায়। মেলার আয়োজনকারী সাথী সমাজ কল্যাণ সংস্থার ভুমিকা রহস্যজনক ছিল বলে অভিযোগও করেন লটারী ক্রেতারা। শত শত মানুষ প্রতারনার শিকার হয় এ মেলায় লটারী কিনে। জানা যায়, সে সন্ধায় মেলামাঠে এপ্যাসি মোটর সাইকেল সহ বিভিন্ন মুল্যবান পুরষ্কার দেয়ার কথা ছিল লটারীতে।

এদিকে মেলা কমিটির প্রধান টি এ রাজু তাদের যোগসাজসের কথা অস্বীকার করে তখন জানান, যারা লটারী কিনেছে তাদের খেলা পরবর্তী দিন যে কোন ভাবে হোক করানো হবে এবং পুর্বের নিয়ম অনুসারে পুরষ্কারও দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি।
তবে এ প্রতিবেদন প্রকাশের সময় অবধি সেসকল লটারির ড্র সম্পন্ন করা হয়নি বলে জানা যায়। এলাকাবাসির বিশ্বাস, তাৎক্ষনিক পরিস্থিতি সামলাতেই টি এ রাজু এ আশ্বাস দিলেও তিনি তা পুর্ণ করবেন না। এর আগে শৈলকুপার রতিডাঙ্গা গ্রামে লটারী আয়োজকরা ২ দিনের পুরষ্কার না দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয়।

“র‌্যাফেল ড্র” এর নামে বিভিন্ন লটারী প্রতারক চক্র এভাবেই দিনের পরদিন দিন মানুষ ঠকিয়ে চলেছে নিরবে। সমাজের গরীব মানুষের ঘামে ভেজা টাকা গুলো সুক্ষবুদ্ধি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু প্রতারক চক্র।

শেষে জোরে সোরে ঝিনাইদহ সদরের সিটি কলেজ প্রাঙ্গনে “শিল্প ও বানিজ্য মেলায়” চলছে দৈনিক বেনারশী র‌্যাফেল ড্র। ঝিনাইদহবাসী অতিষ্ঠ হয়ে অপেক্ষা করছে কবে হবে এর অবসান আর কত লাখ টাকা হাতিয়ে চম্পট দেয় এই দৈনিক বেনারশী র‌্যাফেল ড্র।

ঝিনাইদহের অতিহ্য চিত্রকর পারভেজের গল্প !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
চুপচাপ বসে আছেন তরুণী। এক তরুণ বসে বসে ছবি আঁকছে। তার চোখ একবার ক্যানভাসে, একবার সেই তরুণীর দিকে। পেন্সিলের আঁচড়ে আঁচড়ে ক্যানভাসে ভেসে উঠছে তরুণীর মুখ। আসাদগেট থেকে খামারবাড়ির দিকে আসতেই চোখে পড়ল এমন দৃশ্য। সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজার সামনে, তখন বিকেল, ছবি আঁকছে তরুণ।

হাতের কাজ শেষ হতেই চিত্রকরের সঙ্গে কথা জুড়ে দিলাম। পরিচয় দিতেই পথের এক কফিওয়ালার কাছ থেকে কফি খাওয়ালেন। এবার জানতে চাইলাম নাম-ধাম। ‘‘আমার নাম ওবায়দুর রহমান পারভেজ। বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানায়। বাবার নাম মো. রেজাউল করিম। পরিবারে বাবা, মা ও আমরা দুই ভাই। আমরা দুই ভাই টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশুনা করছি। আমি মূলত মনের সুখেই ছবি আঁকি। আর আমার হাত খরচটা ছবি আঁকা থেকেই করি। পড়াশোনা করার জন্য অর্থিক সাপোর্ট পরিবার থেকেই পাই।’’ অনেকটা একদমেই বলছিলেন তরুণ আঁকিয়ে।

ছবি আঁকার প্রতি ঝোঁক আসলো কিভাবে? এমন প্রশ্নে পারভেজ বলেন, ‘‘ছোটবেলায় বিটিভিতে মোস্তফা মনোয়ার স্যারের ‘মনের কথা’ অনুষ্ঠানটি দেখেই আমার ছবি আঁকা শুরু। বলতে পারেন মোস্তফা মনোয়ার স্যার আমার ছবি আঁকার পরোক্ষ গুরু। তখন আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। আর একটা মজার বিষয় হল আমার দুই চাচা, দাদা- উনারা সবাই খুব ভালো ছবি আঁকতেন। তো ক্লাস ওয়ানে পড়ার সময়ই ছবি আঁকার পেমে পড়ে যাই। আমার স্কুলের শিক্ষকরা ছোটবেলা থেকে আমার ছবি আঁকা দেখে খুবই উৎসাহ দিতেন। স্কুল, কলেজ এবং ইউনিভার্সিটি থেকেও শিক্ষক বন্ধুবান্ধবদের অনুপ্রেরণা পাই। সবার উৎসাহ আমাকে এ পর্যন্ত আসতে সহায়তা করেছে। তবে খুব ইচ্ছা মোস্তফা মনোয়ার স্যারের সঙ্গে দেখা করার। স্যারের সঙ্গে আমার আজো দেখা হয়নি।’

নানা রকমের ছবি আঁকেন পারভেজ। এরমধ্যে আছে, নিসর্গ, মানুষ। জীবগতের নানান বিষয় আছে তার ছবিতে। তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম সরাসরি জীবন্ত মানুষ দেখে ছবি আঁকা শুরু করি এক বড় ভাইয়ের আঁকা দেখে। এই সংসদ ভবনের সামনেই। তার ছবি আঁকা দেখে মনে হল আমিও তো ইচ্ছা করলে এমন ছবি আঁকতে পারব। তো, তারপর মাস দুই অনুশীলনের পর এই পোট্রেট আঁকা শুরু করি।’

পথের ধারে ছবি এঁকে প্রথম আয় কত ছিলো, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার মনে আছে, সেটা ২০১৫ সালের ২৩ নভেম্বরের ঘটনা। সরাসরি মানুষের পোট্রেট ছবি এঁকে ৫০০ টাকা পাই।’ একটি ছবি এঁকে এখন ৩০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা পর্যন্ত নেন বলে জানান পারভেজ।

ছবি নিয়ে পরিকল্পনা কী- এ বিষয়ে পারভেজ বলেন, ‘পড়াশোনা শেষ করার পর আমার ছবি নিয়ে একটা প্রদর্শনী করার ইচ্ছা আছে। আমার ছবির বিষয়বস্তু হবে নিম্নবিত্তদের জীবন।’

ছবি আঁকতে গিয়ে অনেক ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন পারভেজ। তার কোনোটা আনন্দের। কোনোটা বেদনার। একটি ঘটনা কোনোদিন ভুলতে পারবেন না। সেই ঘটনা শোনা যাক তার মুখেই- ‘একদিন বিকালবেলা একটি ছেলে ও মেয়ে আসলো আমার কাছে। মেয়েটির নাম সাদিয়া আর ছেলেটির নাম শূন্য। ছেলেটি মেয়েটির ছবি একেঁ দিতে বললো। আমি মেয়েটির ছবি এঁকে দেই। ছেলেটি মেয়েটিকে ছবিটা উপহার দেয়। মেয়েটি ওই সময় আমার মোবাইল ফোন নম্বর নেয়। তার কিছুদিন পর শূন্য আমাকে একটা গিফট বক্স দেয় আর বলে, সাদিয়া তোমার ছবি আঁকায় অত্যন্ত খুশি হয়েছে। তোমাকে সে একটা উপহার পাঠিয়েছে। আমি গিফট বক্স এখনো খুলে দেখিনি। মেয়েটি এর দুদিন পরে আমাকে ফোন করে দেখা করতে বলে। আমি দেখা করার জন্য যখন যাই তখন সেই গন্তব্যস্থলে একটা সড়ক দূর্ঘটনা ঘটে। আমি কাছে গিয়ে দেখি, সাদিয়া নামের সেই মেয়েটি সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছে।’

ঝিনাইদহের মহেশপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষে আহত ৪ !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সংঘর্ষে ৪জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সড়াতলা গ্রামে। আহতদের মহেশপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এর মধ্যে আলাউদ্দীন নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, জমাজমি নিয়ে দির্ঘদিন ধরে গ্রামের দু’টি পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুরের রুস্তম আলীর ছেলে আলাউদ্দীন প্রতিপক্ষের লোকজনের উপর হামলা করে। পরে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে মসলেম উদ্দীনের ছেলে সামাউল, রবিউল ইসলাম ও, আজাদ হোসেন নামের তিন ভাই এবং প্রতিপক্ষ আলাউদ্দীন আহত হয়।

ঝিনাইদহ মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম বিপ্লব বলেন, লোক মুখে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়েছি। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ বা মামলা করতে আসেনি।

ঝিনাইদহে জাসদ প্রার্থির এক ভোটে বেজ্জতি কার ?
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর প্রার্থী মুন্সি এমদাদুল হক এক ভোট পেয়ে আলোচনায় এসেছেন। তিনি জাসদের প্রার্থী ছিলেন।

বুধবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী কনক কান্তি দাস (চশমা প্রতীকে) ৫’শ ৩৭ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধী জাতীয় পার্টি সমর্থিত এম হারুন অর রশিদ (আনারস প্রতীকে) পান ৩’শ ৯২ ভোট। আর জাসদ সমর্থিত প্রার্থী মুন্সী এমদাদুল হক (মোটর সাইকেল প্রতীকে) পেয়েছেন মাত্র ১ ভোট।

বুধবার বিকালে ভোট গননা শেষে প্রিজাইডিং অফিসার এই ফলাফল ঘোষনা করেন। জাসদ প্রার্থী মুন্সি এমদাদুল হক এক ভোট পাওয়ায় নানা আলোচনা সমালোচনা করতে দেখা যায়। শান্তপ্রিয় এই মানুষটিকে কেন ভোটে দাড়িয়ে বেজ্জতি করতে হবে এমন কথা মানুষ বলতে পিছপা হয়নি।

ঝিনাইদহে ব্যাপক শীতে বাড়ছে শীতবস্ত্রের কেনা বেঁচা !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহে শীত বাড়ার সাথে সাথে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদাও। শীতবস্ত্রের দোকানে লেপ, কম্বল, সোয়েটার, ব্লেজারসহ নানান গরম কাপড় কেনার জন্য বেড়েছে ক্রেতাদের ভীড়।

ঝিনাইদহ শহরের বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে ৫০থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার,কানটুপি, মাফলার, মোজা ও হাত মোজাসহ নানা ধরনের শীতের পোশাক। গরিব-ধনী সহ সকল শ্রেনীর মানুষ ভিড় করছেন এসব দোকানে। ঝিনাইদহের শহরে সরেজমিনে দেখা যায়, শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ক্রেতাসাধারণের উপচে পড়া ভীড়। শহরের ফুটপাত ও মার্কেটের শীতবস্ত্রের দোকানগুলোতে ছিল বেচাকেনার ধুম।

কয়েকজন বিক্রেতার সাথে কথা বলে জানা যায়, দাম কম হওয়ায় অনেক ধনী পরিবারের সদস্যরাও শীতের কাপড় কিনতে আসছে এখানে। এবার শীতের শুরুতে শীতের কাপড় তেমন বিক্রি না হলেও এখন প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। সোয়েটার ও চাদর বিক্রি গত বছরের তুলনায় এবার অনেকটাই বেড়েছে। তবে শিশুদের শীতের কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় এবার বেশি বলে অভিযোগ করেন কয়েকজন ক্রেতা।

বাচ্চার জন্য কাপড় কিনতে আসা রিক্সাচালক মুজাম বলেন, গত বছর বাচ্চাদের সোয়েটার ৫০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এবার ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি করছিলেন রাজু নামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। বিক্রি কেমন হচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দিনে প্রায় ৬০-১০০টা সোয়েটার বিক্রি করছেন। চাদর বিক্রি করছেন ১০০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। এছাড়া কানটুপি, মোজা বিক্রি করছেন ৩৫ থেকে ৫৫ টাকা পর্যন্ত।

বেশকিছু ক্রেতার সাথে কথা বললে তারা বলেন, শীতের প্রকোপ থেকে রক্ষার জন্য এখানে আসলে বিপনী বিতান গুলো থেকে অপেক্ষাকৃত কম দামে গরম কাপড় পাওয়া যায়। ফুটপাত থেকে কাপড় কেনার সময় সতর্ক থাকতে হয়। কারণ দোকানিরা প্রায় দ্বিগুণ দাম চেয়ে বসে।

বাংলাদেশ শিক্ষা সমিতির উদ্দ্যেগে ঝিনাইদহের নবনির্বাচিত জেলা চেয়ারম্যানকে শুভেচ্ছা !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কনক কান্তি দাস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশ শিক্ষা সমিতি সদর উপজেলার সকল শিক্ষক, শিক্ষিকা পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে। অভিনন্দন জানানোর জন্য সদর উপজেলা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়ারুল ইসলাম এ অভিনন্দনে উদ্বক্তা ছিলেন।

(২৯শে ডিসেঃ) বৃহস্পতিবার দুপুরে নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে সমিতির সভাপতি আব্দুল মতিম ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইয়ারুল ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়ে উপজেলার সকল শিক্ষকদের পক্ষথেকে তাকে ফুলেন নৈকা উপহার দেয়।

এর আগে শিক্ষকরা ঝিনাইদহ পি টি আই প্রঙ্গন থেকে উপজেলার শিক্ষক, শিক্ষিকা নিয়ে এক সভাযাত্রা সহকারে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এর বাড়িতে উপস্থিত হয়।

ঝিনাইদহের মহেশপুরে শত্রু যখন লাউ গাছ ! কৃষকের লাখ টাকার ক্ষতি !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার এস.বি.কে. ইউপির বজরাপুর গ্রামের শফি উদ্দীনের পুত্র জামাল হোসেনের ১ বিঘা জমিতে ফলন্ত লাউ গাছ কে বা কারা কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। এতে ঐ ব্যাক্তির প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জামাল হোসেন গ্রামের খেলাফতের নিকট মুক্তদুয়া বিলের মাঠে প্রায় ১ বিঘা জমি টাকার বিনিময় বন্ধক নিয়ে লাউ লাগিয়ে বান তৈরী করে পরিচর্যা করে আসছিলেন। প্রথম চালানে অল্প কিছু লাউ বিক্রি করেছেন। দ্বিতীয় চালান ১ হাজারের উর্ধ্বে ছোট বড় বান ভর্তি লাউ এর ধরন অবস্থায় গত মঙ্গলবার গভীর রাত্রে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কে বা কারা লাউ গাছগুলি স্বপূর্ণরুপে কেটে সাবাড় করে দিয়েছে। তাহাতে ঐ ব্যাক্তির প্রায় লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

দরিদ্র কৃষক জামাল হোসেন বলেন, আমি গরীব মানুষ পরের জমি বন্ধক রেখে চাষা-আবাদ করে থাকি। এর উপর নির্ভর করে আমার সংসার কোন রকমে চলে। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আমার এই ক্ষতি করা হয়েছে। মহেশপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলেও জানা যায়। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহের কনক কান্তি দাসকে ঢাকা থেকে হেলিকাপ্টার যোগে শুভেচ্ছা জানাতে আসলেন প্রিয়াংকা গ্রুফের চেয়ারম্যন !
ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
কনক কান্তি ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যাক্তি গন ফুলের তোড়া নিয়ে উপস্থিত হয় ঝিনাইদহ হামদহ তার নিজ বাসভবনের সামনে।

এই বিষয়ে জানা গেছে, ঢাকা থেকে আসছেন প্রিয়াংকা গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান সাইদুর রহমান সজল। বেলা ১২ টার দিকে হেলিকাপ্টারে এসে নামে ঝিনাইদহ সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে। সেখান থেকে মাইক্রবাসে করে নবনির্বাচিত জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবনের সামনে উপস্থিত হলে নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান তাকে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে অভিন্দদন জানান।

এই সময়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাস ভনের সামনে শুভেচ্ছা জানতে আসা লোক জনের আগমনে এক সমাবেশে পরিণত হয়। এই সমাবেশে ঝিনাইদহ বাসীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, প্রিয়াংকা গ্রুপের চেয়ারম্যন সাইদুর রহমান সজল, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সংসদ সদস্য মোঃ আব্দুল হাই। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাংস্কৃতিক জোটের সাধারন সম্পাদক রাজু আহাম্মেদ মিজান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জে এম রশিদুল আলম রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার আহাম্মেদ মৃধা, ঝিনাইদহ সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সিদ্দিক আহাম্মেদ, শৈলকূপা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মনোয়ার হোসেন মালিথা, হরিসংকরপুর ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মাছুম, মধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েল পারভেজ, দোগাছি ইউনিয়ের চেয়ারম্যান ইসহাক জোরদ্দার, মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরসেদ আলম, নলডাঙ্গা ইউনিয়ের চেয়ারম্যান কবির হোসেন, ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল আহাম্মেদ প্রমুখ।

এই সমাবেশে কনক কান্তি বলেন নির্বাচিত করার জন্য অভিন্দন জানিয়ে আমাকে ফুলের তোড়া দিয়ে খুশি করা যাবে না। আপনারা আওয়ামীলীগের সাথে থাকলেই আমি খুশি। আমি পারসেন্টের ব্যবসা করব না। তার নির্বাচনে খুশি হয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানানর জন্য ঢাকা থেকে সাইদুর রহমান সজল অভিন্দন জানান। সাইদুল রহমান সজল বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা কনক কান্তি কে মনোনয়ন দিয়ে সঠিক করেছেন। তার প্রমান তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *