মাদার হাউসে হামলার পরিকল্পনা ছিল জঙ্গি মুসার

Slider জাতীয়

12033fe52350eb4e57703b5a264337dc-mother-house

 

 

 

 

 

 

ঢাকা; ভারতের কলকাতায় মাদার তেরেসার মিশনারিজ অব চ্যারিটির সদর দপ্তরে হামলার পরিকল্পনা ছিল আইএসের সন্দেহভাজন জঙ্গি মোহাম্মদ মুসার। হিন্দুস্তান টাইমসে গতকাল রোববার খবর প্রকাশের পর কলকাতা পুলিশ মাদার হাউসে নিরাপত্তা জোরদার করে।

গতকাল বড়দিনের উৎসব শুরুর আগেই হাউসের বাইরে পুলিশের কমব্যাট বাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়। তাদের মধ্যে কমান্ডোও ছিল। এ ছাড়া পার্ক স্ট্রিট পুলিশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা, এমনকি কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময় হাউস এলাকা ঘুরে গেছেন ও খোঁজখবর নিয়েছেন।
পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘আমি শুধু বলতে পারি যে নিরাপত্তা বেশ জোরদার করা হয়েছে।’

তবে এ ব্যাপারে মিশনারিজ অব চ্যারিটি সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।

হিন্দুস্তান টাইমস গতকাল জানিয়েছিল, মাদার হাউসে হামলার পরিকল্পনা ছিল মুসার। জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) তাঁর বিষয়ে যে অভিযোগপত্র দিয়েছে, সেখানে মুসা এ তথ্য দেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার যেসব নাগরিক নিয়মিত মাদার হাউসে যাওয়া-আসা করে, তারাই মুসার টার্গেট ছিল। সিরিয়া, ইরাক ও লিবিয়ায় আইএসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার বোমা হামলার ‘প্রতিশোধ’ নিতেই এ পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। গত শুক্রবার এনআইএ অভিযোগপত্রটি দেয়।

গত ৬ জুলাই বর্ধমান রেলস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার হয় আইএস জঙ্গি মো. মসিউদ্দীন ওরফে মুসা। আইএসের সঙ্গে মুসার যুক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে ভারতীয় পুলিশ। তাঁর সঙ্গে বাংলাদেশের জঙ্গিদের ও বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের যোগাযোগ থাকার কথাও জানিয়েছে তারা। ১৫ আগস্ট বাংলাদেশ থেকে পুলিশের তিন সদস্যের একটি দল কলকাতায় গিয়ে মুসাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

বাংলাদেশের পুলিশ সে সময় বলেছে, তারা জেনেছে, মুসার জন্ম বীরভূমে হলেও বড় হন তামিলনাড়ুর তিরুপুরে। উচ্চমাধ্যমিক পাসের পর আর লেখাপড়া করেননি। তিরুপুরেই একটি মুদি দোকান দিয়েছিলেন। চেন্নাই থেকে ট্রেনে করে হাওড়ায় আসার পথে বর্ধমানে আইএস জঙ্গি সন্দেহে মুসা আটক হন।

জিজ্ঞাসাবাদকারী বাংলাদেশের পুলিশের প্রতিনিধিদলের একজন কর্মকর্তা সে সময় জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বলেছেন, বাংলাদেশের ‘নব্য জেএমবি’র সদস্যরা তাঁকে উগ্রবাদের দীক্ষা দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইসলামিক স্টেট বাংলাদেশ নামের একটি প্ল্যাটফর্মে যোগ দেন। তখন থেকেই বাংলাদেশের জঙ্গিদের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ।

সূত্র জানায়, মুসা মুঠোফোনে টেলিগ্রাম নামে একটি অ্যাপের মাধ্যমে কলকাতায় হামলার পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন। যাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, তারা হলো আইএসের নেতা আবু সুলেমান ওরফে মোহাম্মদ সুলেমান; যাকে ঢাকায় হলি আর্টিজান হামলার মূল হোতা মনে করা হয়। এ ছাড়া সন্দেহভাজন ভারতীয় মুজাহিদিন সফি ওমর ছাড়াও আইএস ও জামাত-ই মুজাহিদিনের অনেক সদস্যের সঙ্গে কথা বলেন মুসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *