এস. এম. মনিরুজ্জামান মিলন, রংপুর বিভাগীয় প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার ৬ নং ভাতুরিয়া ইউনিয়নের অচুয়া পাটনপাড়া, বহতি এবং ৫ নং ইউনিয়নের খোলড়া গ্রামে প্রায় ২৫ হাজার মানুষের বসবাস। এসব গ্রামের মানুষদের উপজেলা সদর ও কাঠালডাঙ্গীর সাথে যোগাযোগের প্রায় ৬ কি.মি. দৈর্ঘ্যের প্রধান সড়কটি (কাঁচা রাস্তা) নষ্ট হয়ে খাদখন্দে পরিণত হওয়ায় রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া খোলড়া গ্রামের পানি নিষ্কাশনের কালভার্ট ২টির অর্ধাংশ রাস্তার মাটি কেটে বেরিয়ে পড়েছে।
সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিদের অসচেতনতা ও অবহেলার কারণেই দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। ঐ রাস্তা দিয়ে কাঠালডাঙ্গী মহিলা কলেজ, গোপালপুর ও খোলড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বহতি উচ্চ বিদ্যালয়, বহতি এতিমখানার শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
খোলড়া গ্রামের পূর্ব দিকে বহতি বিলের মাঝখান দিয়ে রাস্তায় দুটি জোড়া ব্রীজ রয়েছে। রাস্তার সাথে ব্রীজের সংযোগ স্থলে মাটি সরে গেছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। তন্মধ্যে একটি ব্রীজের দুটি রেলিংও ভেঙ্গে গেছে। ব্রীজে কোন ল্যাম্পপোস্ট না থাকায় অন্ধকারে মানুষ পথ চলতে ব্রীজ থেকে মানুষ নিচে পড়ে যেতে পারে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোলড়া ও বহতি বাজারের কয়েকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ৭/৮ বছর ধরে এই রাস্তায় কোন মাটি ভরাটের কাজ হয়নি। তারা জানতে চান এই রাস্তার নামে কোন বরাদ্দ হয় কিনা? আমরা গ্রামবাসী রাস্তাটির জন্য কি যে দূর্ভোগ পোহাচ্ছি তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। তারা এর প্রতিকার চান।
বহতি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঃ জব্বার বলেন, খরা মৌসুমে শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলেও বর্ষা মৌসুমে রাস্তা খারাপের জন্য স্কুলে আসতে পারে না এতে আমরা পড়ি বিপাকে। তাই এ রাস্তাটি জনস্বার্থে দ্রুতসময়ে পাকা করা উচিত।
৫ নং ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মংলা ও ৬ নং ভাতুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহাজাহান আলী বলেন, আমরা এবার নতুন চেয়ারম্যান হয়েছি পুরাতন চেয়ারম্যানরা কি করেছে তা দেখার বিষয় না। রাস্তাটির করুন দশা আমরা দেখেছি, সরকারি বরাদ্দ পেলেই রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।