নারায়ণগঞ্জ; সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষে এখন চলছে ভোট গণনা। ১৭৪ কেন্দ্রের মধ্যে ৩০টি কেন্দ্রের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। প্রাপ্ত ফলাফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী নৌকা প্রতীক নিয়ে ২৬ হাজার ৩২ ভোট পেয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান ১৪ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়েছেন। প্রায় ১২ হাজার ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে আছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী।
দলীয়ভাবে ও দলীয় প্রতীকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনেই প্রথম ভোট আজ বৃহস্পতিবার সকাল আটটায় শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল চারটায়। নির্বাচনে তেমন কোনো অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনার খবর মেলেনি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ হয়েছে।
মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র ১৭৪টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩০৪। সব কটি ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মোট পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ৩২২। এর মধ্যে দুজন বিদেশি পর্যবেক্ষক রয়েছেন বলে কমিশন থেকে জানা গেছে। দেশি ১৬টি সংস্থা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
দ্বিতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ২০১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মেয়র পদে লড়াই করেন সাতজন। যদিও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রার্থী কামাল প্রধান ও কল্যাণ পার্টির রাশেদ ফেরদৌস বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যান। অন্য তিন প্রার্থী হলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মাহবুবুর রহমান ইসমাইল (কোদাল), ইসলামী আন্দোলনের মাসুম বিল্লাহ (হাতপাখা) ও ইসলামী ঐক্যজোটের ইজহারুল হক (মিনার)। ২৭ ওয়ার্ডে ২৭টি কাউন্সিলর পদে প্রার্থী ১৫৬ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ৯টি পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে প্রথম ভোট হয় ২০১১ সালের ৩০ অক্টোবর। নির্দলীয় ওই নির্বাচনে সেলিনা হায়াৎ আইভী ১ লাখ ৮০ হাজার ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ-সমর্থিত ও বর্তমান সাংসদ শামীম ওসমান পেয়েছিলেন ৭৮ হাজার ভোট। বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী ভোটের সাত ঘণ্টা আগে সরে দাঁড়ান।